৯টি সেরা বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া ২০২৩ : প্রচুর টাকা ইনকাম করুন ।

আপনি কি বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন ? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য।

বিদেশী ব্যবসা বা পণ্যের প্রতি প্রতিটি মানুষের আলাদা এক ধরনের আগ্রহ রয়েছে। যার ফলে অনেক মানুষই আয় করার জন্য বিদেশি ব্যবসার প্রতি ঝুঁকে পড়ছে।

কেননা বিদেশী ব্যবসার ক্ষেত্রে বেশি লাভবান হওয়া যায়। এজন্য অবশ্যই আপনাকে ব্যবসার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে।

পাশাপাশি পরিশ্রম করতে হবে এবং মেধা খাটাতে হবে। তাহলে অল্প সময়ে অনেক লাভবান হতে পারবেন।

তাই আজ আমি বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া হিসাবে দুর্দান্ত কয়েকটি আইডিয়া দেব। পাশাপাশি নানান সূক্ষ্ম  বিষয়গুলো তুলে ধরব।

ফলে আপনি খুব সহজেই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই আপনাকে সম্পূর্ণ লেখাটি পড়তে হবে।

এবং লেখা অনুযায়ী ফলো করতে হবে। তাহলে অল্প সময় সফলতা লাভ করতে পারবেন।

বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া

বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া ২০২৩

আমি এখানে ঐ সমস্ত ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করব। যে ব্যবসা গুলো খুবই লাভজনক এবং অনেক প্রসিদ্ধ।

এই ব্যবসা গুলোর মধ্যে লসের কোন অবকাশ নেই। তবে আপনাকে এই ব্যবসায় অনেক সময় দিতে হবে এবং পরিশ্রম করতে হবে।

তাহলে আপনি অল্প সময়ে সফলতার মুখ দেখতে পারবেন। এখানে আমি প্রায় দশটি ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

১. ইমপোর্ট অথবা এক্সপোর্ট এর ব্যবসা করতে পারেন।

ইমপোর্ট বলতে আমরা বুঝি বিদেশ থেকে কোন মালামাল বাংলাদেশে আমদানি করা। আর এক্সপোর্ট বলতে আমরা বুঝি বাংলাদেশ থেকে কোন মালামাল বিদেশে রপ্তানি করা।

বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে ইমপোর্ট অথবা এক্সপোর্ট এর ব্যবসা করতে পারেন । আমদানি এবং রপ্তানি উভয় ব্যবসা থেকে প্রচুর পরিমাণ আয় করা সম্ভব। আমাদের দেশে আমদানি এবং রপ্তানি উভয় ব্যবসায় আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে।

মানুষ ধীরে ধীরে আমদানি ও রপ্তানির দিকে ঝুকে পড়ছে। কেননা এই ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্রে লাভ অনেক বেশি হয়।

তবে আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে নানান গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। ব্যবসা করার ক্ষেত্রে এই সমস্ত দিকগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

ইমপোর্ট অথবা এক্সপোর্ট ব্যবসা করার নিয়ম:

  • মার্কেট নিয়ে গবেষণা করতে হবে। দেখতে হবে কোন সমস্ত পণ্যের চাহিদা বেশি।
  • মার্কেট যাচাই বাছাই করার পর সঠিক পণ্য নির্বাচন করতে হবে।
  • ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে।
  • লাইসেন্স করতে হবে।
  • মোটামুটি ১৫ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকার মূলধন থাকতে হবে।
  • পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের দক্ষতা থাকতে হবে।
  • ইংলিশ ভাষা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যেহেতু আপনি ইন্টারন্যাশনাল ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তাই ভাষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
  • দক্ষ কর্মী থাকতে হবে।
  • বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে।
  • একটি দোকান লাগবে অথবা অনলাইনে পেজ তৈরি করতে হবে। আর যদি সম্ভব হয় একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
  • বিদেশ ভ্রমণের জন্য নানান ধরনের ডকুমেন্ট এবং পাসপোর্ট লাগবে।
  • ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হবে । অনলাইন পেমেন্ট করার সিস্টেম করতে হবে ।
  • এরপর বিজনেস প্ল্যান করতে হবে। অর্থাৎ কিভাবে বিজনেসটা করবেন এবং কত টাকা দিয়ে পণ্য ক্রয় করবেন এবং কত টাকা দিয়ে বিক্রি করবেন। পাশাপাশি কত টাকা খরচ হবে এসব নানান বিষয়ে হিসাব করতে হবে । যাতে করে আপনি লস এর সম্মুখীন না হন।

উপরের নিয়ম গুলো ফলো করে ব্যবসা শুরু করে দিবেন। আশা করি খুব সহজেই সফলতা লাভ করতে পারবেন।

প্রতিমাসে ৫০০০০ টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা খুব সহজে ইনকাম করা সম্ভব। তবে আপনাকে সময় দিতে হবে এবং পরিশ্রম করতে হবে । পাশাপাশি মেধা খাটাতে হবে। তাহলে অল্প সময়ে সফলতার উচ্চশিক্ষা করে পৌঁছে যাবেন।

২. ইন্টারন্যাশনাল খাবারের হোটেল দিতে পারেন।

বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া

উন্নত মানের এবং ইন্টারন্যাশনাল খাবার হোটেলে  সকলেই খাবার খেতে পছন্দ করে। কেননা সেখানে অভিজ্ঞ শেফের মাধ্যমে বিদেশি বিভিন্ন খাবার তৈরি করা হয়।

বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল খাবারের হোটেল এর ব্যবসা করতে পারেন ।

বিদেশি খাবারের চাহিদা বেড়েই চলছে। ভবিষ্যতে এর চাহিদা কমবে না। এই ব্যবসাটা খুবই আনকমন একটি ব্যবসা। অতএব এই সুযোগটি আপনি কাজে লাগাতে পারেন।

ইন্টারন্যাশনাল খাবারের হোটেল দেওয়ার নিয়ম

  1. অভিজ্ঞ শেফ লাগবে। ( যে বিদেশি খাবার খুব সহজেই মজাদার করে তৈরি করতে পারে।)
  2. ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মত পুঁজি লাগবে।
  3. আনকমন এবং আধুনিক পদ্ধতিতে হোটেলকে সাজাতে হবে। যাতে করে খুবই সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ মনে হয়। কেননা এখানে ভিআইপি ভিআইপি লোকেরা খাবার খেতে আসবে।
  4. অভিজ্ঞ ওয়েটার লাগবে।
  5. মানসম্মত খাবার তৈরি করতে হবে।
  6. ভালোভাবে মার্কেটিং করতে হবে। এজন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করতে পারেন।
  7. হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা চালু রাখবেন। এতে করে আপনার ব্যবসা দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। কেননা বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ অর্ডার করে খাবার খেতে পছন্দ করে।

ইত্যাদি এ সমস্ত বিষয় খেয়াল করে হোটেল দিলে দ্রুত সফলতা লাভ করতে পারবেন। এখান থেকে প্রতিমাসে এক লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকা খুব সহজে আয় করতে পারবেন। আশা করি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

৩. ডেস্টিনেশন ওয়েডিং প্ল্যানার এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমানে মানুষ বিদেশে গিয়ে বিয়ের আয়োজন করতে পছন্দ করে। অর্থাৎ বিভিন্ন আকর্ষণীয় ও  মনমুগ্ধকর স্থানে গিয়ে বিয়ের আয়োজন করতে খুবই পছন্দ করে।

বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং প্ল্যানার এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
অতএব আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ ওয়েডিং প্ল্যানার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই চমৎকার ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

এই ব্যবসার চাহিদা অনেক বেশি। ভবিষ্যতে চাহিদা আরো অনেক বাড়বে। তাই দেরি না করে আজই ডেস্টিনেশন ওয়েডিং প্ল্যানার এর ব্যবসা শুরু করে দিন।

ডেস্টিনেশন ওয়েডিং প্ল্যানার এর ব্যবসা করার নিয়ম

  • এ ব্যবসা পাসপোর্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই আপনার দীর্ঘমেয়াদী পাসপোর্ট থাকতে হবে।
  • ব্যবসার জন্য লাইসেন্স এবং বৈধ কাগজপত্র লাগবে।
  • আপনার ওয়েডিং প্লেনিং এর অভিজ্ঞতা লাগবে। অন্যথায় সফলতা লাভ করতে পারবেন না।
  • অভিজ্ঞ কর্মচারী লাগবে।
  • ডেকোরেশনের বিভিন্ন আসবাবপত্র লাগবে।
  • ভালো ও আকর্ষণীয় এবং মনমুগ্ধকর স্থান নির্বাচন করতে হবে।
  • ভালো মানের ক্যামেরা থাকতে হবে।
  • ৫ লক্ষ থেকে ছয় লক্ষ টাকা মত পুঁজি থাকতে হবে।

উপরোক্ত নিয়ম মেনে ব্যবসা শুরু করতে পারলে খুব অল্প সময়ে সফলতা লাভ করতে পারবেন।

এই ব্যবসায় প্রতিমাসে এক লক্ষ টাকা থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারবেন। কেননা টিকেট কাটা থেকে শুরু করে থাকা ও খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি প্রতিটা ক্ষেত্রেই লাভ করা সম্ভব। তাই দেরি না করে আজই এই চমৎকার ব্যবসাটি শুরু করে দিন।

৪. মেডিকেল ট্যুরিজম এজেন্সি হিসেবে ব্যবসা করতে পারেন।

বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছে। এজন্য তাদের বিদেশে যাওয়া , থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ও  চিকিৎসার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহ নানান কিছুর প্রয়োজন পড়ে।

এই জন্য তারা বিভিন্ন এজেন্সির সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের সাথে চুক্তি করে। বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে মেডিকেল ট্যুরিজম এজেন্সি হিসেবে ব্যবসা করতে পারেন।

অতএব আপনিও একটি এজেন্সি খুলতে পারেন। এ ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি। আজই ব্যবসা শুরু করে দিন।

মেডিকেল ট্যুরিজম এজেন্সি ব্যবসা করার নিয়ম

  • এজন্য আপনাকে বিদেশি বড় বড় হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে।
  • চিকিৎসা সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা রাখতে হবে।
  • ওষুধ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
  • যাতায়াতের জন্য পরিপূর্ণ ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থাৎ টিকিট কাটা থেকে নিয়ে শুরু করে সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • বিদেশে গিয়ে থাকা খাওয়ার জন্য হোটেলের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • ১ লক্ষ টাকার মত পুঁজি থাকতে হবে।
  • এ ব্যবসা পাসপোর্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট থাকতে হবে।
  • ভ্রমণ করার ব্যাপারে আপনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

উপরোক্ত নিয়ম মেনে ব্যবসা শুরু করতে পারলে খুব অল্প সময়ে সফলতা লাভ করতে পারবেন।

এই ব্যবসায় প্রতিমাসে ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারবেন। কেননা টিকেট কাটা থেকে শুরু করে থাকা ও খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি প্রতিটা ক্ষেত্রেই লাভ করা সম্ভব।

পাশাপাশি হাসপাতাল থেকেও ভালো পরিমাণ কমিশন পাবেন। তাই দেরি না করে আজই এই চমৎকার ব্যবসাটি শুরু করে দিন।

৫. ইন্টারন্যাশনাল এফিলিয়েট  মার্কেটিং করতে পারেন।

বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমান সময়ে এফিলেট মার্কেটিং খুবই লাভজনক ব্যবসা। এ ব্যবসায় প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল এফিলিয়েট  মার্কেটিং করতে পারেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করার নিয়ম

  • ইংলিশ জানতে হবে।
  • অ্যামাজন , আলী এক্সপ্রেস ইত্যাদি এরকম বড় বড় মার্কেটপ্লেসে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু করবেন।
  • আপনাকে একটি প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে হবে। ( অ্যামাজন , আলী এক্সপ্রেস ইত্যাদি এরকম মার্কেটপ্লেস থেকে সিলেক্ট করতে পারেন ) ।
  • প্রোডাক্ট অনুযায়ী আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।
  • প্রোডাক্ট এর বিভিন্ন ধরনের রিভিউ লিখবেন।
  • এরপর ভালোভাবে এসিও করবেন।
  • এরপর অ্যামাজনের সাথে আপনার লেখা রিভিউ এর লিংক করবেন।
  • এর ফলে গ্রাহকরা যখনই আপনার রিভিউ এর মাধ্যমে amazon এ ঢুকবে । এরপর যদি কোন একটি প্রোডাক্ট ক্রয় করে। তাহলে অ্যামাজন আপনাকে কমিশন দিবে।

এভাবে আপনি প্রতিনিয়ত অনেক লাভবান হতে পারবেন। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।

এভাবে খুব অল্প সময়ে এফিলেট মার্কেটিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতি মাসে আয় করতে পারবে।
এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে নিচের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন :

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো ২০২৩

৬. ইন্টারন্যাশনাল ডেলিভারি সার্ভিস ব্যবসা করতে পারেন।

বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া

ইন্টারন্যাশনাল ডেলিভারি বলতে আমরা বুঝি এক দেশ থেকে আরেক দেশে পণ্য আদান প্রদান করা।

এভাবে ক্রেতা বা বিক্রেতার পণ্য তাদের চাহিদা অনুযায়ী ডেলিভারি করে প্রতিমাসে প্রচুর টাকা লাভ করা সম্ভব। এ ব্যবসায় অভিজ্ঞতা অনেক প্রয়োজন। বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল ডেলিভারি সার্ভিস ব্যবসা করতে পারেন।

ইন্টারন্যাশনাল ডেলিভারি সার্ভিস ব্যবসা করার নিয়ম

  • এক লক্ষ থেকে দুই লক্ষ টাকার পুঁজি থাকতে হবে।
  • পণ্য ডেলিভারির জন্য বিশ্বস্ত ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া।
  • পণ্য দুইভাবে ডেলিভারি করা যায়। (১) উড়োজাহাজের মাধ্যমে। (২) শিপের মাধ্যমে। যেকোনো একটি মাধ্যম বেছে নেওয়া।
  • ব্যবসার জন্য অবশ্যই লাইসেন্স অনেক প্রয়োজন।
  • পণ্যের ওজন অনুযায়ী সঠিক ডেলিভারি চার্জ নির্ধারণ করা।
  • দক্ষ ডেলিভারি কর্মী নিযুক্ত করা।
  • যদি সম্ভব হয় জাহাজ বা উড়োজাহাজ ক্রয় করা। এতে করে ডেলিভারি করতে সুবিধা হবে।

উপরের পদ্ধতিতে খুব সহজেই ইন্টারন্যাশনাল ডেলিভারি সার্ভিস চালু করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন।

৭. বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া হলো অনলাইন পরামর্শ সেবা করে ব্যবসা করা ।

বর্তমানে ঘরে বসে বিদেশে বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়ে প্রতি মাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেমন :

  1. কোন বিষয়ের উপর ট্রেনিং উপাদান করা ।
  2. মোটিভেশনাল বক্তব্য দেওয়া ।
  3. কোন একটি বিষয়ের উপর পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা থাকা। ডিজিটাল মার্কেটিং , এসইও , নানা রকম টেকনিক্যাল প্রবলেম , ব্যবসাকে উন্নত করার ট্রিক্স ইত্যাদি।

এ ব্যবসার জন্য আপনাকে কোন একটি বিষয়ের উপর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এরপর ওই বিষয়ের উপর বিভিন্ন কোম্পানিকে পরামর্শ দিবেন।

অনলাইন পরামর্শ সেবা করেব্যবসা করার নিয়ম

  • সর্বপ্রথম আপনাকে ইংলিশের উপর পারদর্শী হতে হবে
  • কোন একটি বিষয়ের উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।
  • ওই বিষয়ের উপর ওয়েবসাইট খুলতে হবে।
  • ভালো ভেবে এসিও করে রেঙ্ক করাতে হবে।
  • সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং করে প্রচার প্রসার করতে পারেন। ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
  • এরপর বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে হায়ার করবে পরামর্শ নেওয়ার জন্য।

এর মাধ্যমে আপনি প্রচুর পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন প্রতি মাসে। আশা করি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

৮. বিদেশী ভাষা শিখিয়ে ব্যবসা করতে পারেন ।

মানুষ বিদেশে যাওয়ার জন্য ভাষা শিখে। যেমন : হিন্দি ভাষা , জাপানি ভাষা , জার্মান ভাষা , স্প্যানিশ ভাষা , ইংরেজি ভাষায় ইত্যাদি।

বিদেশী ভাষা শিখার চাহিদা অনেক বেশি। দিন দিন চাহিদা অনেক বেড়েই চলছে। এজন্য আপনি একটি প্রতিষ্ঠান দিতে পারেন ভাষা শিখার জন্য। এ ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি। এ

বিদেশী ভাষা শিখিয়েব্যবসা করার নিয়ম:

  • এ ব্যবসা করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে নানা রকম বিদেশী ভাষা জানতে হবে।
  • কয়েকজন ট্রেনিং প্রাপ্ত দক্ষ শিক্ষক লাগবে যারা বিদেশী ভাষা জানে।
  • ইচ্ছে করলে আপনি অনলাইনেও শিখাতে পারেন।
  • মোটামুটি 20 থেকে 30000 টাকার পুজি লাগবে।
  • তবে অনলাইনে যদি শিখাতে পারেন তাহলে বেশি লাভবান হবেন। এজন্য আপনাকে মার্কেটিং করতে হবে।

আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।

৯. অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন ।

আপনি যদি বিদেশি ব্যবসা করতে চান তাহলে বর্তমান সময় সবচেয়ে বেস্ট একটি ব্যবসা হলো ফ্রিল্যান্সিং।

আমাদের দেশে এই ব্যবসার চাহিদা অনেক বেড়েই চলছে। এই ব্যবসাটি আপনার ঘরে বসে করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিংব্যবসা করার নিয়ম

  • আপনাকে ইংলিশ ভাষা জানতে হবে। যদি আপনি ভালভাবে সফল হতে চান তাহলে
  • কম্পিউটার লাগবে ।
  • কোন একটি বিষয়ের উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইও , গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি।
  • বর্তমান সময়ে প্রতিযোগিতা বেশি এই কারণে অভিজ্ঞতা অবশ্যই লাগবে।
  • পরিশ্রম করতে হবে ।
  • সময় দিতে হবে ।

তাহলে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।

এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে নিচের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন :

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ২০২৩

পরিশেষে বলবো :

উপরে বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা  করলাম। অতএব আপনি যদি এই ব্যবসাগুলো করতে চান ।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে সর্বপ্রথম পরিপূর্ণভাবে ধারণা নিতে হবে । এরপর আপনাকে মার্কেট গবেষণা করতে হবে।

এরপর আপনি ব্যবসা শুরু করে দিবেন উপরের পদ্ধতি অনুযায়ী। লেখাতে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ।

I always like to learn new things and spread them. Therefore, my main goal is to highlight various new topics related to online business, online income, blogging and information technology.

Leave a Comment