বর্তমান সময়ে ১১টি লস ছাড়া ব্যবসা আইডিয়া ২০২৩: প্রতিমাসে নিশ্চিত ইনকাম ।

আপনি কি লস ছাড়া ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য।

বর্তমান সময়ে সকলে ব্যবসা করতে চায়। কিন্তু ব্যবসার মধ্যে লসের ঝুঁকি থাকার কারণে অনেকেই ব্যবসা শুরু করতে নানা রকম টেনসনে পরে থাকে।

টেনশনের কোন কারণ নেই। কেননা আমি বর্তমানে এমন কিছু ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পেরেছি।

যে ব্যবসাগুলোতে কোন ধরনের লস নেই। পাশাপাশি এমন কিছু ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পেরেছি যেগুলোর মধ্যে লস অনেক কম।

তাই আপনাদের কথা ভেবে লস ছাড়া ব্যবসা সম্পর্কে আইডিয়া দিব। যাতে করে আপনি খুব সহজে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

পাশাপাশি নানান সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্ম বিষয় তুলে ধরব। ফলে আপনি খুব দ্রুত সফলতা লাভ করতে পারবেন।

অতএব আপনাকে সম্পূর্ণ লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে এবং এ অনুযায়ী সমস্ত কাজ করতে হবে।  তাহলে আপনি খুব দ্রুত সফলতা লাভ করতে পারবেন।

লস ছাড়া ব্যবসা

Table of Contents

বর্তমান সময়ে লস ছাড়া ব্যবসা ১১টি

আমি এখানে ঐ সমস্ত ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করব যে ব্যবসাগুলোতে কোন ধরনের লস নেই । তাই নির্দ্বিধায় এই চমৎকার ব্যবসা গুলো করতে পারেন।

তবে ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ব্যবসায় সময় দিতে হবে ও পরিশ্রম করতে হবে এবং যত কষ্টই হোক লেগে থাকতে হবে। তাহলে খুব দ্রুত ব্যবসায় সফলতা লাভ করতে পারবেন।

১. স্টেশনারি ব্যবসা করতে পারেন।

স্টেশনারি ব্যবসা খুবই লাভজনক । এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে । কখনো কমবে না ।

এখানে লস একেবারেই নাই। কেননা স্টেশনারি পণ্য নষ্ট হয় না। তাই লস ছাড়া ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন ।

এই ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই কয়েকটি পদক্ষেপ হাতে নিতে হবে।

১.গ্রাহকদেরকে টার্গেট করতে হবে।

সর্বপ্রথম আপনাকে গ্রাহকদের টার্গেট করতে হবে এবং তাদের চাহিদা গুলো বুঝতে হবে।
এ ব্যবসার জন্য স্বাভাবিকভাবে গ্রাহক হলো:

  • ছোট বাচ্চারা
  • অফিস আদালতের কর্মচারী
  • বিভিন্ন শিক্ষকবৃন্দ
  • বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
  • স্টেশনারি ব্যবসার জন্য এই সমস্ত ব্যক্তিরাই হলো টার্গেটিং গ্রাহক।

২. উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে।

উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যাতে করে খুব দ্রুত সফলতা লাভ করতে পারেন। অতএব আপনাকে স্কুল-কলেজ , বাজার , শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , অফিস আদালত ইত্যাদি এই সমস্ত স্থান বাছাই করতে হবে।

কি কি পণ্য স্টেশনারি ব্যবসার জন্য সংগ্রহ করতে হবে ?

পড়াশোনার যাবতীয় সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করতে হবে। অর্থাৎ

  • কলম
  • খাতা
  • পেন্সিল
  • বই
  • কম্পিউটারের জন্য পণ্য
  • অফিস আদালতের জন্য নানান প্রয়োজনীয় পণ্য
  • ছোট বাচ্চাদের শিক্ষামূলক খেলনা

ইত্যাদি এরকম প্রত্যেকটা জিনিস সরবরাহ করতে হবে। পাশাপাশি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সংগ্রহ করতে হবে।

স্টেশনারি পণ্য কোথায় থেকে সংগ্রহ করবো ?

অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন পাইকারি মার্কেট থেকে স্টেশনারি পণ্য সংগ্রহ করতে হবে। যেমন চকবাজার ,  নীলক্ষেত, নিউ মার্কেট , বাংলা বাজার ইত্যাদি এ সমস্ত স্থান থেকে পণ্য সংগ্রহ করতে হবে।

পাইকারি বাজার থেকে পণ্য সংগ্রহ করার দ্বারা অনেক লাভবান হতে পারবেন। কেননা পাইকারি বাজারে অনেক কম মূল্য পণ্য পাওয়া যায়।

পাইকারি বাজার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিজের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

Read more : স্টেশনারি পাইকারি বাজার কোথায় কোথায় রয়েছে ?

স্টেশনারি ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ?

  • গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সংগ্রহ করতে হবে।
  • আনকমন এবং আকর্ষণীয় পণ্য সংগ্রহ করতে হবে।
  • ভালো মানের পণ্য সংগ্রহ করতে হবে।
  • গ্রাহকদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে।

আশা করি উপরের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে খুব সহজেই স্টেশনারি ব্যবসায়ী সফলতা লাভ করতে পারবেন।

২. লস ছাড়া ব্যবসা হলো ডিলারশিপ ব্যবসা।

ডিলারশিপ বলতে আমরা বুঝি কোন কোম্পানির নির্দিষ্ট একটি এলাকা বা অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এলাকায় কোন কোম্পানির পণ্য পাইকারি হিসেবে বিক্রি করা আরো নানান কাজের দায়িত্ব পালন করা ।

এ ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্রে কোম্পানি আপনাকে অনেক সুযোগ সুবিধা দিবে। ফলে আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন। এই ব্যবসায় কোন লস নেই।

ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করার নিয়ম

  1. ডিলারশিপ ব্যবসা করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে মার্কেট নিয়ে গবেষণা করতে হবে। দেখতে হবে কোন ধরনের পণ্যের প্রতি মানুষের চাহিদা বেশি। এরপর ওই ধরনের পণ্য আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে।
  2. তারপর আপনাকে কোম্পানি নির্ধারণ করতে হবে। কেননা মার্কেটে নানান ধরনের কোম্পানি রয়েছে। তাই আপনাকে দেখতে হবে কোন কোম্পানি সবচেয়ে ভালো বেশি এবং পাশাপাশি অফার দেয় বেশি।
  3. যেমন আপনি যদি ফুড আইটেম নিয়ে কাজ করেন। তাহলে এখানে নানান ধরনের কোম্পানি রয়েছে। যেমন স্কয়ার কোম্পানি , প্রাণ কোম্পানি , আকিজ গ্রুপ , বসুন্ধরা , সিটি গ্রুপ।
  4. আর যদি আপনি ইলেকট্রিক আইটেম নিয়ে কাজ করেন তাহলে এখানে নানান কোম্পানির রয়েছে। যেমন ওয়ালটন , সিংগার , samsung ইত্যাদি।
  5. নির্মাণ সামগ্রীর ডিলার নিয়ে কাজ করতে পারেন যেমন : সিমেন্ট ,  বিভিন্ন রড কোম্পানির রড ইত্যাদি।

অতএব আপনাকে এসব কোম্পানি থেকে নির্ভরযোগ্য কোম্পানি বেছে নিতে হবে।

ডিলারশিপ ব্যবসায় পুঁজি কেমন লাগে ?

এ ব্যবসায় সাধারণত দুই ধরনের ইনভেস্ট করতে হয়।

  1. আপনি যে কোম্পানির সাথে কাজ করতে চাচ্ছেন ওই কোম্পানির কাছে সিকিউরিটির জন্য কিছু টাকা ডিপোজিট রাখতে হবে। সেটা 20 হাজার টাকা হতে পারে ৫০০০০ টাকা হতে পারে। কোম্পানি যেরকম ডিমান্ড করবে অত টাকায় দিতে হবে।
  2. আরেকটি সিস্টেম হল আপনি যে প্রোডাক্ট নিতে চাচ্ছেন ঐ পদার্থের নির্দিষ্ট একটি মূল্য অগ্রিম প্রদান করতে হবে। আর বাকি টাকাটা পরে দিতে হবে।

এই দুই পদ্ধতিতে ডিলারশিপ ব্যবসায় পুঁজি ব্যবহার হয়ে থাকে।

ডিলারশিপ ব্যবসায় যে সমস্ত বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে ?

  • সর্বপ্রথম আপনাকে কোম্পানি সম্পর্কে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করতে হবে। এজন্য সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো মার্কেটে যে সমস্ত কোম্পানি প্রসিদ্ধ তাদের সাথে ডিলারশিপ করা। যাতে করে আপনি কোন ধরনের প্রতারণার শিকার না হন।
  • আপনি যে পণ্যটি বিক্রি করতে চাচ্ছেন ওই পণ্যটি আপনার ওই নির্দিষ্ট এলাকায় চাহিদা  রয়েছে কিনা ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। অন্যথায় লসের শিকার হবেন।
  • ডিলারশিপের জন্য যখন চুক্তি করবেন তখন অবশ্যই ভালোভাবে রেজিস্ট্রেশন করে রাখুন। যাতে করে কোম্পানি কোন ধরনের প্রবলেম না করতে পারে।

এ সমস্ত পদ্ধতি মেনে খুব সহজেই এ চমৎকার ব্যবসা করতে পারেন।

৩. জুসের দোকান দিতে পারেন।

বর্তমান সময়ে ফলের জুস খেতে সকলে পছন্দ করে। বিশেষ করে টাটকা টাটকা ফলের জুস খেতে মানুষ খুবই আগ্রহী।

ধীরে ধীরে এই ব্যবসাটি অনেক চাহিদা পূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ ব্যবসাটি একেবারে লস নেই। তাই লস ছাড়া ব্যবসা হিসেবে এটাকেও রাখতে পারেন । অতএব দেরি না করে আজই এই চমৎকার ব্যবসাটি শুরু করে দিন।

জুসের ব্যবসা করার নিয়ম

  • এ ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে চমৎকার একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে। যে স্থানে লোকসমাগম বেশি। যেমন বাজার , রেল স্টেশন , বাস স্টেশন , শহরতলী , স্কুল-কলেজের সামনে। ইত্যাদি এ সমস্ত স্থানের মধ্য থেকে যে কোন একটি স্থান  নির্বাচন করতে হবে।
  • মৌসুম অনুযায়ী বিভিন্ন ফল সংগ্রহ করতে হবে। এরপর এ সমস্ত ফলের জুস তৈরি করতে হবে।

যেহেতু আপনি প্রাকৃতিকভাবে ফলের জুস তৈরি করছেন তাই প্রচুর পরিমাণ গ্রাহক পেয়ে যাবেন। কারণ মানুষ ভেজাল জিনিস  পছন্দ করে না।

টাটকা ও প্রাকৃতিক জিনিস পছন্দ করে। এ ব্যবসায় পুঁজি অনেক কম লাগে।লাভ অনেক বেশি। কোন ধরনের লস নেই। আশা করি বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

৪। লস ছাড়া ব্যবসা হলো ফার্মেসির ব্যবসা।

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে লাভবান ব্যবসা হল ফার্মেসি ব্যবসা। কেননা প্রতিটি মানুষ ঔষধ নির্ভর হয়ে গিয়েছে। ওষুধ ছাড়া মানুষের জীবন কাটে না।

ওষুধের চাহিদা দিন দিন আরো বাড়ছে থাকবে। তাই এই ব্যবসাটি অনেক লাভজনক এবং চাহিদা পূর্ণ। এই ব্যবসায় কোন ধরনের লস নেই। তাই আজ এ চমৎকার ব্যবসা টি করতে পারেন।

ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার নিয়ম :

  1. এ ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে চমৎকার একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে। যে স্থানে লোকসমাগম বেশি। যেমন বাজার , রেল স্টেশন , বাস স্টেশন , শহরতলী , কোন হাসপাতালের সামনে । ইত্যাদি এ সমস্ত স্থানের মধ্য থেকে যে কোন একটি স্থান  নির্বাচন করতে হবে।
  2. অবশ্যই আপনাকে ঔষুধের ব্যাপারে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এজন্য আপনি কোন ফার্মেসিতে গিয়ে কয়েকদিন এ ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন।
  3. আপনার ফার্মেসিতে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার সাপ্তাহিকভাবে রাখতে পারেন। এর দ্বারা আপনার ব্যবসার সফলতা খুব দ্রুত পাবেন।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নিচের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

আরো পড়ুন :

৫. ফুলের নার্সারীর ব্যবসা করতে পারেন ।

অর্থাৎ আপনি একটি চমৎকার ফুলের বাগান দিতে পারেন। ফুল সকলেই পছন্দ করে। বিশেষ করে বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে আমাদের দেশে ফুলের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়।

যেমন ভালোবাসা দিবস ইত্যাদি। এ ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি। লস নাই। তাই লস ছাড়া ব্যবসা হিসেবে এটাকেও রাখতে পারেন । অতএব এই চমৎকার ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

ফুলের ব্যবসা করার নিয়ম

  • এ ব্যবসা শুরু করার জন্য ভালো এবং প্রশস্ত একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে।
  • এরপর মার্কেট নিয়ে গবেষণা করতে হবে। অর্থাৎ কোন ধরনের ফুলের চাহিদা বেশি এবং গ্রাহকরা খুব সহজেই গ্রহণ করে ঐ সমস্ত ফুল উৎপাদন করতে হবে।
  • বিভিন্ন দোকানদারদের সাথে কথা বলে তাদের সাথে ডিল করতে হবে।
  • ইচ্ছা করলে আপনি অনলাইনে খুব সহজে ফুলের ব্যবসা করতে পারেন। মানুষ অনলাইনের প্রতি অনেক ঝুঁকে পড়েছে। তাই এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন।

আশা করি আপনি বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

৬. লস ছাড়া ব্যবসা হলো ফটোগ্রাফির ব্যবসা।

লস ছাড়া ব্যবসা
লস ছাড়া ব্যবসা

বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আমাদের দেশে অনেকেই তার এই মুহূর্তটাকে স্মরণীয় করার জন্য ক্যামেরা বন্দি করে থাকে।

এজন্য তারা বিভিন্ন ফটোগ্রাফারদেরকে ভাড়া করে থাকে। দিন দিন এই চাহিদা বেড়েই চলছে। প্রত্যেকেই এরকম কাজ করে থাকে।

তাই ধীরে ধীরে এই ব্যবসা খুবই চাহিদা পূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই ব্যবসাটি খুবই চমৎকার একটি ব্যবসা। এ ব্যবসায় কোন লস নাই। তাই দেরি না করে আজ এই চমৎকার ব্যবসাটি করার চিন্তা ভাবনা করে দিন।

ফটোগ্রাফি ব্যবসা করার নিয়ম

  • সর্বপ্রথম আপনাকে ফটোগ্রাফির উপর ভালো ধারণা থাকতে হবে। এজন্য আপনি youtube থেকে ফ্রিতে শিখতে পারেন। আর যদি চান কোন পেইড কোর্স করবেন তাহলে সেখান থেকে সেখানে নিতে পারেন। যেমন টেন মিনিট স্কুলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত একটি কোর্স রয়েছে। সেখান থেকে খুব সহজেই শিখে নিতে পারবেন। মোটকথা আপনাকে একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার হতে হবে।
  • আপনি যদি ভালো মানের ফটোগ্রাফার হতে পারেন তাহলে বড় বড় মার্কেটপ্লেস খুব সহজেই আপনার তোলা ছবি বিক্রি করতে পারেন। এভাবে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আশা করি বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

৭. ফটোকপি ও প্রিন্টের দোকান দিতে পারেন।

ফটোকপি ও প্রিন্টের চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়েছে। প্রত্যেকটা মানুষ দরকারি কাগজপত্র ফটোকপি করে থাকে।

এ ব্যবসার চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়েছে। এ ব্যবসায় লস নেই। তাই লস ছাড়া ব্যবসা হিসেবে এটাকেও রাখতে পারেন । অতএব এই চমৎকার ব্যবসাটি করতে পারেন।

ফটোকপি ও প্রিন্টের ব্যবসা করার নিয়ম :

  • এ ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে চমৎকার একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে। যে স্থানে লোকসমাগম বেশি। যেমন বাজার , রেল স্টেশন , বাস স্টেশন , শহরতলী , কোন হাসপাতালের সামনে , স্কুল-কলেজের সামনে, কোন ইউনিভার্সিটি সামনে , অফিস আদালতের সামনে , ব্যাংকের সামনে । ইত্যাদি এ সমস্ত স্থানের মধ্য থেকে যে কোন একটি স্থান  নির্বাচন করতে হবে। এ ব্যবসায় স্থান অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
  • ফটোকপি এবং প্রিন্ট এর মান ভালো রাখতে হবে। এতে গ্রাহকরা আপনার প্রতি বেশি ঝুঁকে যাবে।

এ ব্যবসায় মূলধন বেশি লাগেনা। শুধুমাত্র একটি ফটোকপির মেশিন কিনে নিলেই চলবে।
গ্রাহকদের সাথে ভালো ব্যবহার করবেন। আশা করি আপনি বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

৮. লস ছাড়া ব্যবসা হলো মোবাইল রিচার্জ ও মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যবসা ।

প্রতিটি মানুষের কাছে মোবাইল রয়েছে। মোবাইল রিচার্জ ছাড়া কথা বলা যায় না। তাই রিচার্জের ব্যবসা অনেক চাহিদা পূর্ণ। এর চাহিদা কখনো কমবে না।

রিচার্জের সাথে সাথে মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যবসা করা। বর্তমানে প্রত্যেকটি মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং এর উপর অনেক ভরসা করে।

আমাদের দেশে বিকাশ , রকেট , নগদ ইত্যাদি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। দিন দিন এগুলোর প্রতি মানুষ ধাবিত বেশি হচ্ছে। এই ব্যবসা অনেক লাভজনক। এই ব্যবসা আজই শুরু করে দিন।

মোবাইল রিচার্জ ও মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা করার নিয়ম

  • এ ব্যবসার জন্য চমৎকার একটি জায়গা বা লোকেশন দরকার।
  • তাই  আপনাকে চমৎকার একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে। যে স্থানে লোকসমাগম বেশি। যেমন বাজার , রেল স্টেশন , বাস স্টেশন , শহরতলী , কোন হাসপাতালের সামনে , স্কুল-কলেজের সামনে, কোন ইউনিভার্সিটি সামনে , অফিস আদালতের সামনে , ব্যাংকের সামনে । ইত্যাদি এ সমস্ত স্থানের মধ্য থেকে যে কোন একটি স্থান  নির্বাচন করতে হবে। এ ব্যবসায় স্থান অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
  • মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে।

এ দুটি ব্যবসা একসাথে করলে খুবই লাভবান হতে পারবেন। এই ব্যবসায় পুঁজি অনেক কম লাগে। লাভবান অনেক বেশি হয়ে যায়। লস খাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তাই দেরি না করে আজ এই ব্যবসাটি শুরু করে দেন।

৯. ক্লিনিং ব্যবসা করতে পারেন।

লস ছাড়া ব্যবসা
লস ছাড়া ব্যবসা

ক্লিনিং ব্যবসা বলতে আমরা বুঝি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা অফিস পরিষ্কার করার জন্যে কাজ করা। বড় বড় কোম্পানি পরিষ্কার করার জন্য এ সমস্ত ক্লিনিং কোম্পানিদেরকে ভাড়া করে থাকে।

এ ব্যবসাটি আমাদের দেশে খুব কম রয়েছে। তবে ধীরে ধীরে এ ব্যবসার চাহিদা অনেক বেড়ে চলছে। বিশেষ করে  শহরগুলোতে এই ধরনের সার্ভিস অনেক বেড়ে গিয়েছে।

ক্লিনিং ব্যবসা করার নিয়ম

  1. সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার কোম্পানির চমৎকার এক নাম নির্বাচন করতে হবে।
  2. দক্ষ ও কর্মঠ জনবল লাগবে।
  3. ক্লিনিং করার জন্য বিভিন্ন আসবাবপত্র লাগবে।
  4. প্রচার প্রসার করতে হবে। এর জন্য বিভিন্ন সাইনবোর্ড দিতে পারেন শহরের অলি গলিতে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার প্রচার করতে পারেন।

আশা করি এ বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

Read more : অনলাইন ব্যবসার নাম বের করার কৌশল

১০। লস ছাড়া ব্যবসা হলো স্টক ব্যবসা ।

স্টক ব্যবসা বলতে আমরা বুঝি কোন পণ্য গুদামজাত করে কয়েক দিনের জন্য সংরক্ষণ করা। যেমন : আলু , পেঁয়াজ , রসুন ইত্যাদি ।

এরপর দাম যখন মার্কেটে বেড়ে যায় তখন সেগুলোকে বিক্রি। এই ব্যবসার চাহিদা অনেক আগে থেকেই রয়েছে। বড় বড় ব্যবসায়ীরা এই কাজ করে থাকেন। এ ব্যবসাটি অনেক লাভজনক। কোন ধরনের লস নেই।

স্টক ব্যবসা করার নিয়ম

  • সর্বপ্রথম আপনাকে এমন একটি পণ্য নির্বাচন করতে হবে যে পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে।
  • পাশাপাশি এটাও খেয়াল করতে হবে যে পন্য যেন সহজে নষ্ট না হয়। এজন্য ভালোভাবে গুদামজাত করতে হবে।
  • গুদামজাত করার কিছু নিয়ম রয়েছে এই নিয়মগুলো ফলো করতে হবে। এজন্য আপনি অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারেন।

আশা করি এই সমস্ত বিষয়ে ফলো করে গুদামজাত করলে অনেক লাভবান হতে পারবেন।

১১। ক্যাটারিং ব্যবসা করতে পারেন।

ক্যাটারিং ব্যবসা বলতে আমরা বুঝি খাবার সাপ্লাই দেওয়া। অর্থাৎ বিভিন্ন অফিস , বিয়ে বাড়ি , বিভিন্ন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে মজাদার খাবার তৈরি করে সাপ্লাই দেওয়া।

এই ব্যবসার চাহিদা অনেক বেশি। এখানে কোন ধরনের লস নেই। কেননা যখন আপনি খাবারের অর্ডার পাবেন তখন খাবার তৈরি করবেন এরপর সাপ্লাই দিবেন। তাই লস ছাড়া ব্যবসা হিসেবে এটাকেও রাখতে পারেন ।

ক্যাটারিং ব্যবসা করার নিয়ম

  • এ ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে মজাদার মজাদার খাবার তৈরি করতে হবে। যাতে করে গ্রাহকরা আপনার খাবারের প্রতি আকর্ষিত হয়।
  • অভিজ্ঞ বাবুর্চি রাখার চেষ্টা করবেন।
  • প্রচুর প্রচার প্রসার করতে হবে। এজন্য আপনি সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করতে পারেন।

পরিশেষে বলবো : উপরে লস ছাড়া ব্যবসা সম্পর্কে আইডিয়া দিলাম। আশা করি আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। কোন ধরনের প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। পাশাপাশি বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করে দিবেন। ধন্যবাদ।

I always like to learn new things and spread them. Therefore, my main goal is to highlight various new topics related to online business, online income, blogging and information technology.

Leave a Comment