৫টি উপায়ে ১০০% রিস্ক ফ্রি ব্যবসা করুন ২০২৩

আপনি কি রিস্ক ফ্রি ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন ? তাহলে এই লেখাটি শুধু আপনার জন্য ।

বর্তমান সময় সকলেই ব্যবসা করতে চায়। চাকরি একেবারে করতে চায়না । ব্যবসার দিকে মানুষ ঝুঁকে পড়েছে।

ব্যবসা একজন মানুষকে স্বাভাবিক জীবনের দিকে নিয়ে যায়। চাকরি নামক আবদ্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

এজন্য সকলেই এমন একটি ব্যবসা খুঁজে যে ব্যবসার মধ্যে কোন রিক্স নেই। যাতে করে ব্যবসার মধ্যে লসে শিকার না হতে হয়।

অতএব আমি আপনাদের কথা ভেবে রিস্ক ফ্রি ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করব। পাশাপাশি ব্যবসা করার খুঁটিনাটি নিয়ম গুলো তুলে ধরব।

যাতে করে খুব সহজেই ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং সফলতার উচ্চ শিখরে পৌঁছতে পারেন।

এজন্য অবশ্যই আপনাকে সম্পূর্ণ লেখাটি পড়তে হবে। তাহলে আপনি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

রিস্ক ফ্রি ব্যবসা

রিস্ক ফ্রি ব্যবসা ২০২৩

আমি আপনাদের সুবিধার্থে এখানে এমন ৫টি ব্যবসাগুলো নিয়ে আলোচনা করব যে ব্যবসার মধ্যে কোন রিস্ক নাই।

যদি আপনি সময় দেন এবং পরিশ্রম করেন তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে সফলতার উচ্চ শিখরে পৌঁছে যাবেন।

১. ডিজিটাল স্টুডিও

ডিজিটাল স্টুডিও হলো একটি প্রযুক্তিগত স্থান বা সেটআপ যেখানে শব্দ, চিত্র, ভিডিও, এবং অন্যান্য মাল্টিমিডিয়া প্রোডাকশন কাজ করা হয় ডিজিটাল প্রযুক্তিগত উপকরণে।

ডিজিটাল স্টুডিও দিয়ে কি কি কাজ করা যায় ?

  • ছবি তুলতে পারেন। ছবি তোলার জন্য অবশ্যই ভালো একটি ক্যামেরা রাখতে হবে। যাতে করে ছবি অন্যতম মানের এবং সুন্দর হয়।
  • ফটোকপি করতে পারেন। বর্তমানে মানুষ নানা কারণে ফটোকপি করে থাকে। আপনি ফটোকপির মেশিন সংগ্রহ করতে পারেন।
  • কম্পোজ করতে পারেন।
  • পুরাতন ছবি ঠিক করতে পারেন।

ডিজিটাল স্টুডিওতে আরো কিছু প্রকল্প নিয়ে কাজ করা যেতে পারে ।

  • ডিজিটাল স্টুডিওগুলি সংগ্রহণ, সম্পাদনা, মিক্সিং, মাস্টারিং, এবং সংগ্রহণ নিয়ে কাজ করে আলোচ্য কোনো মিডিয়া প্রোজেক্টের জন্য উপকরণ সরবরাহ করে।
  • ডিজিটাল স্টুডিওগুলি মিউজিক প্রোডাকশন, ফিল্ম পোস্ট-প্রোডাকশন, টেলিভিশন প্রোডাকশন, পডকাস্টিং, ভিডিও গেম ডেভেলপমেন্ট, ভয়েস ওভার এক্টিং, অডিও বুক রেকর্ডিং, পোডকাস্ট প্রোডাকশন, জিনিয়াস কিছু প্রযুক্তি প্রোজেক্টে ব্যবহৃত হতে পারে।
  • ডিজিটাল স্টুডিওগুলি আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তিগত উপকরণ ব্যবহার করে শব্দ, ভিডিও, চিত্র, এবং অন্যান্য মাল্টিমিডিয়া তৈরি ও সম্পাদনা করার সুযোগ সরবরাহ করে।
  • ডিজিটাল স্টুডিওগুলি সাধারণভাবে কম্পিউটার, সফটওয়্যার, ডিজিটাল স্যাম্প্লিং, ডিজিটাল সিন্থেসিস, মিক্সার, এফেক্ট প্রসেসিং উপকরণ, মিডিয়া স্টোরেজ, এবং মাস্টারিং ইঞ্জিন ইত্যাদি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ করে।
  • এই ডিজিটাল স্টুডিওগুলির ব্যবহার মিউজিক, ফিল্ম, টেলিভিশন, মিডিয়া প্রোডাকশন, গেম ডেভেলপমেন্ট, পোডকাস্টিং এবং অন্যান্য মাল্টিমিডিয়া প্রোজেক্টে ব্যবহার করা হয়।

এ ধরনের ব্যবসা খুবই লাভজনক। এটা রিস্ক ফ্রি ব্যবসা । এখানে লস খাওয়ার সম্ভবনা নেই । তবে সেটা নির্ভর করবে আপনার স্থানের উপর।

প্রতি মাসে যদি ন্যুনতম ৫০০ কপি ফটো প্রিন্ট হয় তাহলেও আপনার সব ধরনের খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা মুনাফা আসবে ।

আর যদি আধুনিক প্রকল্প নিয়ে কাজ করেন তাহলে প্রতি মাসে ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা ইনকাম সম্ভব ।

২. সাইবার ক্যাফে হলো ঝুকিহীন ব্যবসা

সাইবার ক্যাফে বিজনেস হলো এমন একটি ব্যবসা মডেল যেখানে মানুষের সাইবার স্পেসে বৈঠক, গাহিজ প্রোগ্রাম, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, কম্পিউটার গেমিং, বা অন্যান্য সাইবার কার্যক্রমে সময় কাটানো হয়।

সাইবার ক্যাফে ব্যবসা করে মানুষের সাইবার জগতে বসে থাকার জন্য একটি স্পেস প্রদান করে এবং তাদের সাইবার নৈতিকতা অথবা প্রথাবিশেষ প্রস্তাবনা অনুসরণ করে। এটা রিস্ক ফ্রি ব্যবসা । এখানে লস খাওয়ার সম্ভবনা নেই ।

সাইবার ক্যাফে বিজনেস বিশেষভাবে নিম্নলিখিত জন্য প্রস্তুত করা হতে পারে:

  1. ইন্টারনেট সংযোগ: সাইবার ক্যাফে সংযোগ দেওয়ার জন্য উচিত হলো ত্বরিত ও দীর্ঘ ইন্টারনেট সংযোগ, যাতে গ্রাহকরা ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারেন এবং অনলাইন কাজ সম্পাদন করতে পারেন।
  2. কম্পিউটার ও অন্যান্য সরঞ্জাম: সাইবার ক্যাফে সেটআপের জন্য উচিত কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ইন্টারনেট রাউটার, প্রিন্টার, স্ক্রিন, এবং অন্যান্য কার্যকরী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
  3. সাইবার সিকিউরিটি: সাইবার ক্যাফে ব্যবসা করতে, গ্রাহকদের সাইবার সুরক্ষা সরঞ্জাম এবং প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
  4. মক্সিমাইজ কাস্টমার অভিজ্ঞতা: সাইবার ক্যাফে সেবা প্রদানের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রথমে কাস্টমারের অভিজ্ঞতা ম্যাক্সিমাইজ করতে হয়।
  5. মার্কেটিং এবং প্রমোশন: সাইবার ক্যাফের বিজ্ঞাপন, মার্কেটিং স্ট্রাটেজি, এবং প্রমোশন ব্যবসার সফলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  6. লেগাল এবং লাইসেন্সিং: সাইবার ক্যাফে বিজনেস চালানোর জন্য স্থানীয় আইন এবং লাইসেন্স সম্পর্কে স্বাধীনভাবে যেন স্থানীয় নীতি ও বিধি অনুসরণ করা হয়।
  7. মানব সম্পদ ম্যানেজমেন্ট: কর্মীদের নিয়োগ প্রশাসন, ও উন্নতি সম্পর্কে উচিত যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

সাইবার ক্যাফে বিজনেস ব্যবসায়িক এবং সাইবার প্রযুক্তির যোগাযোগ দিয়ে মানুষের সাইবার অভিজ্ঞতা প্রদান করে, সময় কাটানো এবং নৈতিকতা প্রস্তাবনা অনুসরণ করতে সাহায্য করে।

৩. ম্যানুফ্যাকচারিং বিজনেস হলো রিস্ক ফ্রি ব্যবসা

ম্যানুফ্যাকচারিং বিজনেস হলো প্রোডাক্ট নির্মাণ এবং প্রস্তুতকরণের উপর ভিত্তি করে ব্যবসা প্রক্রিয়া।

এই ধরণের ব্যবসায় মানুফ্যাকচারিং কোম্পানি প্রোডাক্ট নির্মাণ, প্রযুক্তি ব্যবহার এবং প্রস্তুতকরণ, প্যাকেজিং, বিপণন, এবং বিপণনে লোকজন পৌঁছে দেয় বা বিপণনে সরবরাহ করে। এটা রিস্ক ফ্রি ব্যবসা । এখানে লস খাওয়ার সম্ভবনা নেই ।

ম্যানুফ্যাকচারিং বিজনেস শুরু করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিম্নলিখিত হতে পারে:

  • প্রোডাক্ট নির্মাণ প্ল্যান: আপনার প্রোডাক্ট নির্মাণ প্ল্যান বানানো আপনার প্রোডাক্টের নির্মাণের প্রক্রিয়া, আসবাবপ্ত উপাদান, কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং নির্মাণের সময়সূচী নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারে।
  • উপাদান সরবরাহ: উপাদান সরবরাহের জন্য প্রতিষ্ঠিত সরবরাহকারীরা সাথে সম্মতি করুন এবং উপাদান সরবরাহের লভ্যতা নিশ্চিত করুন।
  • প্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়া: আপনার প্রোডাক্টের প্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়া যে পদক্ষেপগুলি সম্পূর্ণ করতে হবে তা নির্ধারণ করুন, এবং সুনিশ্চিত করুন যে এই পদক্ষেপগুলি প্রাধিকৃত এবং স্থিতিশীল আছে।
  • মার্কেটিং এবং বিপণন: আপনার প্রোডাক্টটির বিপণন এবং প্রচার পর্যাপ্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করুন।
  • গুণমান নির্ধারণ: আপনার প্রোডাক্টের গুণমান নির্ধারণ করতে যাদের চাইলে ক্রয় করতে হবে, তাদের জন্য প্রদান করুন এবং গুণমান নির্ধারণের জন্য গুণমান নির্ধারণ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত স্থিতি রখুন।
  • উপযুক্ত লাইসেন্স এবং মন্ত্রণা: আপনার ম্যানুফ্যাকচারিং বিজনেস চালানোর জন্য সম্প্রদায়ের আপেক্ষিক নির্দেশনা অনুসরণ করুন এবং যে কোনও আবশ্যক লাইসেন্স এবং মন্ত্রণা নিশ্চিত করুন।

ম্যানুফ্যাকচারিং বিজনেস বিভিন্ন প্রকারের প্রোডাক্ট তৈরি এবং বিপণন করতে পারে, যেমন খাদ্য এবং পানীয় প্রোডাক্ট, ইলেকট্রনিক্স, জানোয়ার, কাপড় এবং বহু অন্যান্য।

ম্যানুফ্যাকচারিং বিজনেস সমৃদ্ধিশালী হতে পারে, তবে এটি স্বাধীন প্রবৃদ্ধি ও সহযোগিতা প্রয়োজন করে।

৪. মোবাইল এর ব্যাবসা

মোবাইলের ব্যবসা যথেষ্ট সম্ভাবনাময় একটি ব্যবসা। আমি এখানে নতুন মোবাইলের ব্যাপারে বলছি না।

সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল এর চাহিদা সব সময় ছিল এবং এখনো আছে এই সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল বা ইউজড মোবাইল হতে পারে একটি আদর্শ ব্যবসায়িক পণ্য। এটা রিস্ক ফ্রি ব্যবসা । এখানে লস খাওয়ার সম্ভবনা নেই ।

কিভাবে তা Explain করছি। 

আপনি হয়তো bikroy. com এর নাম শুনেছেন ? সেখানে এমন হাজারো সেলার রয়েছে তারা যথেষ্ট মুনাফা অর্জন করছে প্রতিনিয়ত সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন বিক্রি করে ।

এটা তাদের নিজস্ব সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন না, তারা কোন উৎস থেকে বা কোন ব্যক্তি থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড ফোনগুলো কম টাকায় সংগ্রহ করে, ক্রেতার কাছে বিক্রি করছে নিজের ইচ্ছামত দামে। 

৫. ঘরে খাবার তৈরি ব্যবসা

ঘরে খাবার তৈরি ব্যবসা একটি চমৎকার ব্যবসা আইডিয়া হতে পারে, সত্যিই এটি খুব লাভজনক ও প্রফেশনাল উপায় হতে পারে, যদি আপনি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেন।এটা রিস্ক ফ্রি ব্যবসা । এখানে লস খাওয়ার সম্ভবনা নেই ।

এটি ব্যবসায়িক সফলতার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধরণের কাজের প্রয়োজন:

  • ব্যবসার পরিকল্পনা: এই ধরনের ব্যবসা শুরু করার আগে, একটি ব্যবসার পরিকল্পনা তৈরি করুন। যেহেতু আপনি খাবার তৈরি করতে চান, তাই সঠিক মানুষের জন্য সঠিক জন্য কি প্রকার খাবার তৈরি করতে চান তা নির্ধারণ করুন।
  • অনুসন্ধান ও বাজার গবেষণা: আপনার ব্যবসা সাফল্যের জন্য আপনার স্থানীয় বাজারের জন্য কোন খাবারের জন্য জনপ্রিয় দামী আকৃতি প্রদান করে সেই খাবার নির্বাচন করুন।
  • কুকিং স্পেস: একটি উপযুক্ত কুকিং স্পেস সাজানো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত স্থান ও উপকরণ সরবরাহ করবে এবং খাবার তৈরির প্রক্রিয়াটি প্রস্তুত করার জন্য সুবিধা সরবরাহ করবে।
  • সরবরাহকারী চয়ন করুন: সঠিক সরবরাহকারীদের সাথে সম্পৃক্ত হোন যাতে আপনি সঠিক মানের উপাদান পেতে পারেন।
  • মার্কেটিং ও প্রচার: আপনার ঘরে তৈরি খাবার সামগ্রী সামাজিক মাধ্যম, ওয়েবসাইট, ব্লগ, বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে প্রচার করুন।
  • প্রধানগুলি সাথে সম্পৃক্ত হোন: স্থানীয় রেস্টুরেন্ট, কেটারিং সার্ভিস, বাক্স ডেলিভারি সেবা গুলির সাথে সম্পৃক্ত হোন যাতে আপনি আরও বিস্তারিত কাস্টমার পেতে পারেন।
  • গুনগত নিরীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ: খাবারের মান ও সুরক্ষা সার্ভিস পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, তাই নির্ভরযোগ্য এবং সুরক্ষিত হতে হবে।
  • আনুমানিক আবক্ষয়ের জন্য হিসাবরক্ষণ সরবরাহ করুন: আপনি যে পরিমাণে খাবার তৈরি করতে চান তা পরিমাণ করে নিন যাতে আপনি আপনার ব্যবসার প্রোফিটাবিলিটি সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন।

ব্যবসা প্রারম্ভে কঠিনতা সংক্রান্ত হতে পারে, তবে যদি আপনি সাবাশ্য এবং নির্ধারণশীল হন, তবে ঘরে খাবার তৈরি ব্যবসা সাফল্য অর্জন করতে সাহায্য করতে পারে।

পরিশেষে বলবো:

উপরে রিস্ক ফ্রি ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা  করলাম। অতএব আপনি যদি এই ব্যবসাগুলো করতে চান ।

তাহলে আপনি ব্যবসা শুরু করে দিবেন উপরের পদ্ধতি অনুযায়ী। লেখা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ।

I always like to learn new things and spread them. Therefore, my main goal is to highlight various new topics related to online business, online income, blogging and information technology.

Leave a Comment