২০২৩ সালের ৭টি নতুন ব্যবসার আইডিয়া: আয় লক্ষ লক্ষ টাকা

আপনি কি নতুন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য ।

বিজনেস সকলেই করতে চায়। কিন্তু নিজের জন্য পারফেক্ট একটি বিজনেস বের করা অনেক কঠিন।

কেননা যদি ওই বিজনেসটি আপনার পারফেক্ট না হয় তাহলে আপনার সময় , কষ্ট , পুঁজি সবই নষ্ট হয়ে যাবে।

ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে ব্যবসার আইডিয়াগুলো নিয়ে ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করতে হবে। তাহলে আপনি সফলতা লাভ করতে পারবেন।

এজন্য আমি এমন কিছু নতুন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করব। যেগুলো ফলো করলে আপনি নিজের জন্য একটা পারফেক্ট বিজনেস খুঁজে পাবেন।

পাশাপাশি সুক্ষ থেকে সূক্ষ্ম বিষয়গুলো তুলে ধরব। ফলে আপনি ব্যবসার মধ্যে অধিক লাভ করতে পারবেন।

সুতরাং আপনাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি আপনার নিজের জন্য পারফেক্ট একটি বিজনেস খুঁজে পাবেন।

নতুন ব্যবসার আইডিয়া

নতুন ব্যবসার আইডিয়া 2023

আমি এখানে এমন কিছু নতুন বিজনেস সম্পর্কে তথ্য দিব। যে বিজনেস গুলো খুবই লাভজনক। এরকম ব্যবসা বর্তমান সময়ে অনেকেই করছে।

একটি ব্যবসার সফলতার পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে পরিশ্রম। অতএব আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে এবং সময় দিতে হবে। তাহলে অবশ্যই আপনি সফলতা লাভ করতে পারবেন।

১. নতুন পদ্ধতিতে চা এর দোকান দিতে পারেন ।

নতুন একটি বিজনেস আইডিয়া হিসাবে এটাকে গ্রহণ করতে পারেন। আপনি হয়তো বলতে পারেন চা এর দোকান অলি গলিতে নানা জায়গায় রয়েছে।

তাহলে এটা নতুন হলো কিভাবে ? এক্ষেত্রে আমি বলবো প্রতিটি জায়গায় যারা চা বিক্রি করে প্রত্যেকে এক সিস্টেমে বিক্রি করে।

পুরাতন সিস্টেমে। আপনি এই সাধারণ ব্যবসাকে নতুন আঙ্গিকে আধুনিক সিস্টেমে শুরু করবেন। তখন এই চায়ের ব্যবসা খুবই লাভজনক ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

  • আপনাকে ইউনিক পদ্ধতিতে চা তৈরি করতে হবে। নানান রকমের চা তৈরি করতে হবে। যেমন : গ্রিন টি , কোল্ড টি , মশাল্লা টি , লেবুর চা  ইত্যাদি ।
  • পাশাপাশি চায়ের মধ্যে ইউনিক ফ্লেভার দেওয়ার চেষ্টা করবেন। যাতে করে গ্রাহকরা খুব সহজেই আপনার চা খেয়ে গ্রহণ করতে পারে।
  • আপনার দোকানকে ইউনিক পদ্ধতিতে সাজাতে হবে। যাতে করে যে কেউ একবার দেখলে আপনার দোকানের প্রতি আকর্ষিত হয়। প্রশান্তির সাথে বসে বসে আপনার চা খেতে পারে।
  • এজন্য যারা ইউনিক পদ্ধতিতে চা বিক্রি করছে তাদেরকে ফলো করতে পারেন। যেমন এমবিএ চা ওয়ালা।
  • ছোট এই ব্যবসাকে নিজের বুদ্ধি ব্যবহার করে আকর্ষণীয় ভাবে প্রেজেন্ট করে প্রচুর লাভবান হওয়া যাবে।

আশা করি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন কিভাবে চা বিক্রি করতে হবে ।

  Read more :  বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ১৬টি

২. পুরাতন জিনিস ক্রয় ও বিক্রির ব্যবসা ।

অর্থাৎ পুরাতন জিনিস সংগ্রহ করে সেগুলোকে বিক্রি করা। চাই সেটা মোবাইল হোক অথবা  কম্পিউটার হোক অথবা ক্যামেরা হোক ইত্যাদি।

এ সমস্ত জিনিস সংগ্রহ করে অফলাইনে হোক অথবা অনলাইনে হোক উভয় ক্ষেত্রে বিক্রি করতে পারবেন ।

এই ব্যবসাটি খুবই চমৎকার। লাভ অনেক বেশি। পাশাপাশি এ সমস্ত জিনিসের চাহিদা অনেক বেশি ও গ্রাহক চাহিদা বেশি।

এ ব্যবসা করার নিয়ম :

  • প্রথমে আপনি ছোটখাটো একটি দোকান দিতে পারেন।
  • দোকান দেওয়ার সময় স্থানের দিকে নজর দিতে হবে।
  • অর্থাৎ এমন একটি স্থান নির্বাচন করবেন যেখানে লোক সমগম বেশি হয়। যেমন বাজার ,  শহর  , বাসস্ট্যান্ড ইত্যাদি।
  • এরপর বিভিন্ন পুরাতন মাল সংগ্রহ করবেন। পুরাতন মাল সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালোভাবে দেখেশুনে ক্রয় করবেন। যাতে করে নষ্ট না হয়।
  • এরপর এগুলো সরাসরি বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে বিক্রি করবেন। অথবা অনলাইনে bikroy.com এর মত বড় বড় মার্কেটপ্লেস বিক্রি করতে পারেন।

এভাবে বিক্রি করলে খুব সহজেই অনেক লাভবান হতে পারবেন। আশা করি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

৩. নতুন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে জিম সেন্টার খুলে ব্যবসা করতে পারেন ।

নতুন ব্যবসার আইডিয়া
নতুন ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমান সময়ে প্রতিটি মানুষ অনেক সচেতন। বিশেষ করে নিজের শারীরিক এবং মানসিক ব্যাপারে অনেক সচেতন।

শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করে থাকে। তবে প্রত্যেকেই যে সমস্যায় ভুগে সেটা হল ব্যায়াম করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্কআউট মেশিন সংগ্রহ করতে পারেনা।

কেননা মেশিনগুলো অনেক দামী হয়ে থাকে। এজন্য সকলেই জিম সেন্টারে জয়েন হয়ে ব্যায়াম করে।

ধীরে ধীরে জিম সেন্টার এর চাহিদা অনেক বেড়েই চলছে। বর্তমান সময়ে নতুন একটি ব্যবসায় রূপান্তরিত হয়েছে। এই সুযোগটা আপনি কাজে লাগাতে পারেন।

জিম সেন্টার তৈরি করার নিয়ম

  • সর্বপ্রথম আপনাকে ভালো একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে। যে স্থানে যাতায়াতের সুবিধা ভালো হবে।
  • পাশাপাশি এমন একটি স্থান খুঁজে বের করতে হবে যেখানে জিম সেন্টার এর চাহিদা অনেক বেশি।
  • বড় একটি স্পেস নিয়ে জায়গা নির্বাচন করতে হবে।
  • ব্যায়াম করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্কআউট মেশিন সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে মোটা অংকের টাকা ব্যয় হবে।
  • তবে এই টাকা খুব অল্প সময়ে উঠে যাবে। অবশ্যই আপনাকে ভালো ভালো মেশিন সংগ্রহ করতে হবে।
  • এতে করে গ্রাহকরা খুবই আগ্রহ বোধ করবে। গ্রাহকদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে।

এই কাজগুলো করলে ধীরে ধীরে আপনি খুব সহজেই সফলতা লাভ করতে পারবেন।
আশা করি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। অতএব আজই এই চমৎকার ব্যবসাটি শুরু করে দিন।

৪. ফুড ট্রাক তৈরি করে ব্যবসা করতে পারেন ।

বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে গাড়িতে করে খাবার বিক্রি করছে। ওই গাড়িটাকে খুব সুন্দর করে ডিজাইন করে তৈরি করা হয়েছে।

দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। ওই গাড়িতে ফাস্টফুড আইটেম পাওয়া যায়। এই ব্যবসাটি খুবই লাভজনক।

এখানে পুঁজি খুবই অল্প লাগে। নতুন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে এই ব্যবসাটি গ্রহণ করতে পারেন । এই ব্যবসাটি নতুন হিসেবে খুবই গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। আপনিও এই নতুন ব্যবসাটি করতে পারেন।

এই ব্যবসা করার নিয়ম

  • এই ব্যবসা করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে সুন্দর করে একটি গাড়ি তৈরি করতে হবে। যাতে করে দেখতে খুবই আকর্ষণীয় লাগে। যারা তৈরি করেছে তাদেরটি ফলো করতে পারেন।
  • এরপর এমন একটি স্থান বাছাই করবেন যে স্থানের লোক সমগম বেশি। যেমন : বাজার , শহর , স্কুল কলেজ ইত্যাদি।
  • চাহিদা অনুযায়ী আইটেম তৈরি করবেন।
  • সব সময় চেষ্টা করবেন স্বাদ যুক্ত খাবার তৈরি করা। এতে গ্রাহকরা খুবই আকর্ষিত হবে।
  • সম্ভব হলে মজাদার খাবার তৈরি করার কোর্স করে নিবেন। এতে খুব দ্রুত সফলতা লাভ করতে পারবেন।


এই পদ্ধতিতে যদি ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে খুব অল্প সময় সফলতা লাভ করতে পারবেন। আশা করি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

৫. ক্যাটারিং ব্যবসা করতে পারেন।

বর্তমান সময়ে অনেকেই জন্মদিন হোক অথবা যেকোন অনুষ্ঠান হোক ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই সমস্ত দায়িত্ব ক্যাটারিং কর্তৃপক্ষকে দিয়ে থাকে।

তারা অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত কাজ আমজাম দিয়ে থাকে। বর্তমানে এই ব্যবসাটি নতুন একটি ব্যবসা।

নতুন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে এই ব্যবসাটি গ্রহণ করতে পারেন । এ ব্যবসাটি অনেক সফলতা লাভ করেছে। এ ব্যবসায় লাভবান হওয়া যায় অনেক বেশি।

এই ব্যবসা করার নিয়ম

  • সর্বপ্রথম আপনাকে কয়েকজন অভিজ্ঞ এবং পরিশ্রমী লোক দরকার। যারা অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত কাজ নির্ভুলতার সাথে প্রদান করবে।
  • প্রতিটি জিনিস আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে হবে। এতে করে গ্রাহকরা আপনার প্রতি আকর্ষিত হবে। ফলে আপনার ব্যবসা দ্রুত উন্নতির দিকে চলে যাবে।
  • প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করতে হবে।
  • ভালোভাবে মার্কেটিং করতে হবে। এতে করে আপনার কোম্পানির প্রচার প্রসার ঘটবে। ফলে আপনি খুব দ্রুত সফলতা লাভ করতে পারবেন।

উপরে উল্লেখিত নিয়মে এ ব্যবসা শুরু করতে পারলে খুব দ্রুত সফলতা লাভ করতে পারবেন এবং অনেক লাভবান হতে পারবেন। আশা করি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

৬. বিভিন্ন রঙের ও বিভিন্ন ডিজাইনে মোমবাতি তৈরি করে ব্যবসা ।

আগের মত অন্ধকারকে দূর করার জন্য মোমবাতি ব্যবহার করা হয় না। ব্যবহার করা হলেও অনেক কম।

তবে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান অথবা বিভিন্ন স্থানকে আকর্ষণীয় করার জন্য বিভিন্ন রঙের এবং বিভিন্ন ডিজাইনের মোমবাতি ব্যবহার করা হয়।

এই ব্যবসাটি নতুন একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। নতুন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে এই ব্যবসাটি গ্রহণ করতে পারেন ।

ধীরে ধীরে এই ব্যবসা চাহিদা বেড়েই চলছে। এ ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি। তবে পুজি অনেক কম লাগে। এ ব্যবসাটি আপনি খুব সহজেই শুরু করতে পারেন।

এ ব্যবসাটি করার নিয়ম

  • মোমবাতির তৈরি করার জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ করতে হবে। অর্থাৎ রং , সুগন্ধি , ভিতরে দেওয়ার জন্য সুতো, স্টিয়ারিক এসিড , প্যারাফিন ইত্যাদি। এ সমস্ত পণ্যগুলো যে কোন লোকাল দোকান থেকে পেয়ে যাবেন।
  • পাশাপাশি মম গলানোর পাত্র এবং ওভেন লাগবে।
  • বিভিন্ন ডিজাইনের ছাচ এর ব্যবস্থা করা। এতে অল্প সময়ে অনেক মোমবাতি তৈরি করতে পারবেন।

উপরের নিয়মে খুব সহজেই মোমবাতি তৈরি করতে পারবেন এবং অল্প সময় অনেক লাভবান হতে পারবেন। আশা করি আপনি ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন।

৭. কুরিয়ার সার্ভিস বিজনেস করতে পারেন ।

বর্তমান সময়ে প্রতিটা মানুষ অনলাইনের প্রতি অনেক ঝুঁকে পড়েছে। অনলাইন থেকে কেনাকাটা করতে অনেক পছন্দ করে।

এজন্য তারা কুরিয়ার এর মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য গ্রহণ করে। পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্য এক স্থান থেকে আরেক স্থানে কুরিয়ার এর মাধ্যমে আদান প্রদান করে থাকে।

মোটকথা নতুন ব্যবসা হিসেবে কুরিয়ার এর চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়েছে। ভবিষ্যতে এর চাহিদা আরো বাড়বে।

এ ব্যবসা করার নিয়ম

  • সর্বপ্রথম আপনাকে একটি কোম্পানি খুলতে হবে।
  • নিজস্ব যানবাহনের ব্যবস্থা করতে হবে। যে বাহনের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পন্য পৌঁছে দেয়া হবে।
  • ভালোভাবে মার্কেটিং করতে হবে।
  • গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে হবে। এজন্য অবশ্যই আপনাকে নিরাপত্তার সাথে পণ্য যথাস্থানে পৌঁছে দিতে হবে। এতে করে গ্রাহকদের আকর্ষণ আপনার কোম্পানির উপর এসে পড়বে।

আশা করি আপনি ভালভাবেই বুঝতে পেরেছেন। উল্লেখিত পদ্ধতিতে খুব সহজেই এ ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

পরিশেষে বলবো :

উপরে নতুন নতুন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করলাম। আশা করি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন এবং অনেক উপকৃত হয়েছে।

অতএব উপরের পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনি ভালো একজন বিজনেসম্যান হতে পারবেন।

এবং অল্প সময়ে সফলতা লাভ করতে পারবেন। সুতরাং এই লেখাটি অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন । কমেন্ট করে জানাবেন কেমন লেগেছে। ধন্যবাদ।

I always like to learn new things and spread them. Therefore, my main goal is to highlight various new topics related to online business, online income, blogging and information technology.

Leave a Comment