সুস্থ থাকার উপায় ৭টি

আপনি কি সুস্থ থাকার উপায় জানতে চান ? সুস্থতা মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার অনেক বড় একটি নেয়ামত।

সুস্থতা খুব বড় একটি কাঙ্খিত বিষয়। সকলেই সুস্থ থাকতে চায়। কেননা শরীর সুস্থ থাকলে মন ভালো থাকে, শরীর অসুস্থ হলে মনোবল হারিয়ে যায় ।

মন আর সুস্থতা এ দুটি যেন পরস্পর ভাই। শরীর অসুস্থ হলে যেমন: মন দূর্বল হয়ে যায় , অনুরূপ মন খারাপ হলে শরীরও ধীরে ধীরে ভেঙ্গে পড়ে। তাই মন ও শরীরের সুস্থতা ঠিক রাখতে আপনাকে হতে হবে সচেষ্ট। আজ আলোচনা করব সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ।

সুস্থ থাকার উপায়
সুস্থ থাকার উপায়

সুস্থ থাকার উপায় সমূহ:

মন ও শরীরের সুস্থতা ঠিক রাখতে আপনাকে হতে হবে সচেষ্ট ও ৭টি উপায় মানতে হবে । আমি ৭টি উপায় নিয়ে আলোচনা করব ।

১. রোজা রাখা

শরীরকে সুস্থ রাখার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকারী পদ্ধতি হলো রোজা রাখা। বডি ফিটনেস ঠিক রাখতে প্রতি সপ্তাহে দুইটি করে রোজা রাখুন।

এছাড়াও প্রতি সপ্তাহের দুই দিন অর্থাৎ সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখা সুন্নত। আপনি যদি প্রতি সপ্তাহে দুইটি করে রোজা রাখেন, তাহলে একসঙ্গে দুটি কাজ হয়ে গেল,

এক নাম্বার: আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি সুন্নত আদায় হয়ে গেল।

দুই নাম্বার: এতে পাশাপাশি আপনার বডি ফিটনেস‌ও ঠিক রইল।

২. শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় হলো ব্যায়াম করা

শরীর সুস্থ রাখতে এবং বডি ফিটনেস ঠিক রাখতে দৈনন্দিন একটি নির্দিষ্ট সময় ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম শরীরের জন্য খুবই উপকারী। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ব্যায়াম করা অতি আবশ্যক। শারীরিক ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনার শরীরে ধরনের প্রভাব পড়বে, যা আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

ব্যায়ামের জন্য কোন জিম সেন্টারে ভর্তি হতে পারেন অথবা দৈনন্দিন একটি নির্দিষ্ট সময় দৌড়াদৌড়ি করুন, ইউটিউবে ব্যায়াম করার পদ্ধতি সম্পর্কে ভিডিও রয়েছে, সেগুলো দেখে প্র্যাক্টিস করতে পারেন।

ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে খুবই উপকারী একটি ব্যায়াম হলো যোগ ব্যায়াম। শারীরিক ফিটনেস ঠিক রাখতে যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। অথবা সাঁতার কাটতে পারেন , বডি ফিটনেস ঠিক রাখতে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে দৈনন্দিন সাঁতার কাটুন।

৩. সারা জীবন সুস্থ থাকার উপায় হলো খাবারের প্রতি লক্ষ্য রাখা

শরীরকে সুস্থ রাখতে আপনাকে খাবারের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় 6 জাতীয় খাবার রাখা অত্যাবশ্যক যথা :

  • ভিটামিন
  • শর্করা
  • আমিষ
  • চর্বি
  • খনিজ লবণ
  • পানি

তবে সাবধান! সবকিছু যেন পর্যাপ্ত পরিমাণ হয়, মাত্রাতিরিক্ত হলে সেটা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

৪. মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম

শরীরকে সুস্থ রাখার সর্বপ্রথম প্রথম শর্ত হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম। ঘুম শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কার কি পরিমান ঘুমের প্রয়োজন সেটা ব্যক্তি বিশেষে উপর নির্ভর করে, বিশেষজ্ঞদের মতে কোন ব্যক্তি যদি নিজেকে সুস্থ রাতে চায়, তাকে দৈনন্দিন পক্ষে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের ফলে যেসকল ফায়দা হয় সেগুলো হলো এই:

  • হরমোনের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা
  • হার্ট ভালো থাকে
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
  • মন প্রফুল্লতা লাভ করে
  • মানসিক রোগ হ‌ওয়া থেকে সুরক্ষা
  • শরীর বিকশিত হয়
  • কাজের উদ্যমী হয়

তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে দৈনন্দিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান।

৫. পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন

শরীরকে সুস্থ রাখতে দৈনন্দিন খাবার তালিকায় প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন জাতীয় খাবার যুক্ত করুন ‌। প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তাপ সমতা, পুষ্টি সংগ্রহ আরো ইত্যাদি উপকারিতা রয়েছে।

৬. পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার

শরীরকে সুস্থ রাখতে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা আঁশযুক্ত খাবার যুক্ত করুন।
আঁশযুক্ত খাবার যেমন মৌসুমী ফল, সিম, মটরশুটি , বরবটির মতো আঁশযুক্ত সবজি।

বিশ্ব সংস্থার মতে যারা ফলমূল এবং শাকসবজি জাতীয় খাবার বেশি খায় তাদের হাঁপানি, এলার্জির জনক সমস্যা খুব কম হয়।

বাঁধাকপি ও ফুলকপি সহ সকাল সবজি জাতীয় খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমান আঁশযুক্ত খাবার যুক্ত করুন।

৭. গরমে সুস্থ থাকার উপায় হলো পানি

শরীরকে সুস্থ রাখতে চাইলে আপনাকে দৈনন্দিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পানি শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

তবে খাবারের শুরুতে এবং খাবারের মাঝে বারবার পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন। যাতে বদ হজম হওয়ার আশংকা থাকে। দৈনন্দিন ঘুম থেকে ওঠে হাঁটা চলাফেরা করার পূর্বে, 1 লিটার পানি পান করুন, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

এতে আপনার গ্যাস্ট্রিক জাতীয় সমস্যা অতি সহজে দূরীভূত হবে। প্রথম দিনেই 1 লিটার পানি খেতে পারবেন না, সেটা একসঙ্গে পান করলে অনেক কষ্ট হবে। ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে যাবে। খাবারের সময় ব্যতীত সময় পেলেই পানি পান করুন।

এতে আপনার মাথা ঠান্ডা থাকবে। মাথা গরম হবে না। তাই শরীরকে সর্বদা সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।

পরিশেষ কথা:

আপনার শরীরের সুস্থতা আপনার নিকট। যদি আপনি নিজেকে সুস্থ রাখতে চান, তাহলে সেটা আপনার জন্য ক্ষতিকারক সেটা পরিহার করুন, চাই সেটা কোন খাবার হোক, চাই ব্যবহার করা জিনিস। যেটা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর সেটা পরিহার করতে হবে।

যেমন: নেশাজাতীয় দ্রব্য, ফাস্টফুড, সেভেন আপ, মজো, প্রাণ-আপ ইত্যাদি। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সর্বদা সর্তকতা অবলম্বন করুন। রাস্তা পারাপারের সময় খেয়াল করে পারাপার হন। ঘর থেকে বের হওয়ার পর যদি রাস্তায় কোনো দুর্গন্ধ অথবা অনেক ধুলোবালি থাকে, তাহলে মাক্স ব্যবহার করুন।

শুধু মহামারী সময় নয়, বরং সব সময় বাহির থেকে ঘরে গেলে, কোন কাজ করা বা খাওয়ার পূর্বে ভালো করে হাত মুখ ধুয়ে নিন। খাবার খাওয়ার পূর্বে সব সময় অবশ্যই হাত ধৌত করুন। ময়লা কাপড় পরিধান করা পরিহার করুন।

অলসতা বসত আমরা এটা করে থাকি, যার ফলে শরীরে অনেক রোগ-ব্যধি তৈরি হয়। অত্যাধিক তেলযুক্ত খাবার পরিহার করুন। পরিশেষে আবারও একই উক্তি শরীরের সুস্থতা নিজের কাছে, সর্বদা সর্বাবস্থায় সর্তকতা অবলম্বন করুন।

র্বশেষে বলব : সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনাদের লেখাটা ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।

আরো পড়ুন : 

I always like to learn new things and spread them. Therefore, my main goal is to highlight various new topics related to online business, online income, blogging and information technology.

Leave a Comment