আর্টিকেল লেখার নিয়ম ১৫টি ! সকলের জন্য জানা প্রয়োজন

আপনি কি আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

আর্টিকেল হলো একটি ওয়েবসাইটের বড় সম্পদ। যখন আপনি আপনার আর্টিকেলকে তথ্যপূর্ণ এবং হাই কোয়ালিটি করবেন তখন এমনিতেই ভিজিটর আসতে থাকবে।

হাই কোয়ালিটি আর্টিকেল লেখা ছাড়া কখনোই আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর ধরে রাখতে পারবেন না।

কেননা সার্চ ইঞ্জিন সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেয় তথ্যপূর্ণ কন্টেনের ক্ষেত্রে। অতএব আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে আর্টিকেল লেখার নিয়ম। আজ আমি এ সম্পর্কে আলোচনা করব।

আর্টিকেল লেখার নিয়ম

 আর্টিকেল লেখার নিয়ম

লেখার ১৫টি নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। এগুলো ফলো করলে আশা করি আপনি আকর্ষনীয় আর্টিকেল লেখতে পারনে এবং খুব তাড়াতাড়ি সফলতা লাভ করতে পাড়বেন ।

আর্টিকেল কি ?

আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অথবা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় যে লেখাগুলো দেখতে পাই সেগুলি হল আর্টিকেল। আর্টিকেল বাংলায় হতে পারে আবার ইংলিশে হতে পারে ।

অর্থাৎ যে কোন ভাষাই হতে পারে। আর্টিকেল ছোট হতে পারে আবার বড় হতে পারে এর কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই ।

আর্টিকেল লেখার ১৫টি নিয়ম

১/ আর্টিকেল নিয়ে গবেষণা করা

অর্থাৎ আপনি যে বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন। অবশ্যই সে বিষয় সম্পর্কে আগে গবেষণা করুন। ওই টপিক এর খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানুন।

আপনার আর্টিকেল যত তথ্যবহুল হবে তত সার্চ ইঞ্জিন আপনাকে ভ্যালু দেবে। আর যখন সার্চ ইঞ্জিন আপনাকে ভ্যালু দেবে তখন অটোমেটিকভাবে ভিজিটর বাড়তে থাকবে।

অতএব একটি তথ্যবহুল আর্টিকেল লেখার জন্য অবশ্যই আপনাকে আগে গবেষণা করতে হবে।

২/ পাঠকদের প্রয়োজনীয়তার দিকে লক্ষ্য করা

আমরা যখনই কোন লেখা লেখি তখনই আমরা নিজের কথা ভেবে লিখি। পাঠকদের চাহিদার কথা ভাবি না।

যদি পাঠকদের চাহিদা অনুযায়ী না লেখা হয় তাহলে ওই লেখার কোনো মূল্য থাকবে না। অতএব আপনাকে পাঠকদের চাহিদা অনুযায়ী লিখতে হবে। এজন্য আপনাকে দুটি কাজ করতে হবে।

  1. প্রথমে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনার পাঠক কারা ?
  2. আপনার পাঠকদের চাহিদা কি ও তারা কি জানতে চাচ্ছি ?

যদি আপনি আপনার পাঠকদের চাহিদা অনুযায়ী লিখেন তাহলে অবশ্যই তারা আপনার ওই আর্টিকেল থেকে লাভবান হবে। এবং তারা আপনার নিয়মিত ভিজিটরএ পরিণত হবে।

৩/ আকর্ষণীয় টাইটেল দেওয়া

অর্থাৎ আপনার  টাইটেল যত ভালো হবে ততো আপনার লেখার মধ্যে ক্লিক পড়বে। ফলে আপনার আর্টিকেল রেঙ্ক করবে। তবে যদি টাইটেল ভালো না হয় তাহলে ক্লিক কম পড়তে পারে।

যদি ক্লিক কম পরে তাহলে রেঙ্ক করা খুব কঠিন হয়ে যাবে। অতএব আপনাকে আকর্ষণীয় টাইটেল দিতে হবে যাতে করে ভিজিটররা প্রথম দেখাতেই আকর্ষিত হয়।

৪/ ছবি ব্যবহার করা

অর্থাৎ অবশ্যই আপনার আর্টিকেল মধ্যে একটি পারলে কয়েকটি ইমেজ ব্যবহার করবেন পরিস্থিতি অনুযায়ী।

কেননা এই ইমেজ ভিজিটরদেরকে আকর্ষণ করে। পাশাপাশি আপনার আর্টিকেলের এসইও এর ক্ষেত্রে অনেক ভূমিকা রাখে।

৫/ কন্টেন্ট লেখার নিয়ম হলো ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করা

অর্থাৎ ফোকাস কিওয়ার্ড একটি আর্টিকেল এর প্রাণ। এটা ছাড়া কখনোই আপনি আপনার আর্টিকেলকে গুগলে রেঙ্ক করাতে পারবেন না।

ফোকাস কিওয়ার্ড হলো : মানুষ যা লিখে সার্চ দেয় যেমন কেউ সার্চ দিল আর্টিকেল লেখার নিয়ম বা পোস্ট লেখার নিয়ম ইত্যাদি এগুলোই হল ফোকাস কিওয়ার্ড।

অতএব আপনাকে এরকম ফোকাস কিওয়ার্ড টার্গেট করে আর্টিকেল লিখতে হবে। অনেকের প্রশ্ন জাগে কত বার ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করব ? এর উত্তরে বলব বেশি ব্যবহার করা যাবে না আবার কম ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থাৎ মাঝা মাঝি ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। যদি আপনার আর্টিকেল ১০০০ ওয়ার্ড হয় তাহলে ফোকাস কিওয়ার্ড ১৫-২০ বার ব্যবহার করবেন।

আর যদি ছোট হয় তাহলে কম ব্যবহার করবেন। আর একটি বিষয় মনে রাখতে হবে ফোকাস কিওয়ার্ড জেনো অবশ্যই আপনার টাইটেল, আর্টিকেল এর প্রথম পারা,ছবি ,বিভিন্ন শিরোনামের মধ্যে থাকে।

৬/ শুদ্ধ করে লেখা

আপনার আর্টিকেল মধ্যে যেন ব্যাকরণগত সমস্যা ও বানানগত সমস্যা না থাকে। কেননা এ সমস্যাগুলো থাকলে আপনার ভিজিটর ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।

তারা আপনার ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলবে। অতএব আপনাকে অবশ্যই শুদ্ধভাবে আর্টিকেল লিখতে হবে।

৭/ আর্টিকেল লেখার নিয়ম হলো হেডিং ব্যবহার করা

অর্থাৎ আপনার আর্টিকেল এর মাঝে মাঝে হেডিং ব্যবহার করা। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ এসইও এর ক্ষেত্রে।

হেডিংটা কয়েকভাবে হতে পারে h1,h2,h3,h4,h5,h6 । সর্বপ্রথম h1 ব্যবহার করা হয় আর্টিকেল এর টাইটেল অথবা শুরুতে। তারপর পর্যায় ক্রমে h2,h3,h4,h5,h6 এগুলো ব্যবহার করা হয় প্রয়োজন অনুপাতে।

অতএব আপনার আর্টিকেলকে হাই কোয়ালিটি বানানোর জন্য অবশ্যই h1,h2,h3,h4,h5,h6 এগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।

৮/ রিলেটেড কিওয়ার্ড ব্যবহার করা।

অর্থাৎ ফোকাস কিওয়ার্ড এর সাথে সাথে রিলেটেড কিওয়ার্ড ব্যবহার করা। এটা পোস্ট রেঙ্ক করার ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হয়।

৯/ প্যারাগ্রাফ হিসেবে লেখা

অর্থাৎ পোস্ট লেখার সময় অবশ্যই আপনাকে ছোট ছোট প্যারা দিয়ে লিখতে হবে। এতে করে পড়তে সহজ হয়। আর বড় প্যারা থাকলে পড়তে বিরক্ত লাগে।

ফলে ভিজিটররা সম্পূর্ণ আর্টিকেল না পড়েই চলে যায়। আর এটা ওয়েবসাইটের জন্য অনেক ক্ষতিকর। অতএব আপনাকে অবশ্যই ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ আকারে লিখতে হবে।

১০/ ভূমিকা লেখা
আপনি আপনার মূল আর্টিকেল শুরু করার পূর্বে অবশ্যই একটি ভূমিকা লেখুন। ওই ভূমিকার মধ্যে কয়েকটি বিষয় থাকবে

  • আর্টিকেল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া
  • আপনার আর্টিকেল কেন পড়বে সে সম্পর্কে আলোচনা করা ?
  • কি কি বিষয় থাকবে সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আইডিয়া দেওয়া
  • এই সমস্ত বিষয় গুলো নিয়ে আপনি আপনার ভূমিকা সাজাবেন। এ ভূমিকাটি 200 থেকে 300 শব্দের ভিতর রাখা উচিত।

১১/ ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম হলো bullet point ও numbered list ব্যবহার করা

অর্থাৎ এগুলো আর্টিকেল এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা। এর দ্বারা খুব সহজেই ভিজিটররা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বুঝতে পারে। পাশাপাশি তারা আকর্ষিত হয়। অতএব এর সমস্ত বিষয় ব্যবহার করা অনেক জরুরী।

১২/ আর্টিকেল এর শব্দ কমপক্ষে 1000 হওয়া

আপনি চেষ্টা করবেন আপনার আর্টিকেল এর মধ্যে পরিপূর্ণভাবে তথ্য দেওয়া। এবং বিস্তারিত ভাবে লেখা। তবে বিস্তারিত লিখতে যেয়ে অযথা কথা লিখবেন না। এতে করে ভিজিটররা বিরক্তবোধ করবে।

যে বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখেছেন ওই বিষয় নিয়ে লিখবেন। অতিরিক্ত কথা আনবেন না। এবং সহজ ভাষায় লেখার চেষ্টা করবেন।

আর আর্টিকেলের পরিধি 1000 শব্দের কম না হয়। বরং 1000 শব্দের বেশি লেখা। এটা এসইওর ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

১৩/ ইউনিক আর্টিকেল লেখা

অর্থাৎ আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে কখনোই কারো লেখা কপি করবেন না। কেননা লেখা কপি করলে কখনই আপনার লেখা রেঙ্ক করবেনা। এবং নানান সমস্যা হবে। তবে বিভিন্ন জিনিস থেকে ধারণা নিতে পারেন।

অতএব আপনাকে অবশ্যই ইউনিক আর্টিকেল লিখতে হবে। আর ইউনিক আর্টিকেল লেখলে সার্চ ইঞ্জিন আপনার আর্টিকেলকে ভেলু দেবে। ফলে ধীরে ধীরে আপনার ভিজিটর বাড়তে থাকবে।

১৪/ রাইটিং লেখার নিয়ম হলো ডেসক্রিপশন লেখা

অর্থাৎ ডেসক্রিপশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ভিজিটরকে আকর্ষণ করার জন্য। অতএব আপনাকে সহজ ও সুন্দর ভাষায় ডেসক্রিপশন লিখতে হবে।

১৫/ ক্যাটাগরি ব্যবহার করা

ক্যাটাগরি এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এসইও এর ক্ষেত্রে। অতএব আপনাকে অবশ্যই ক্যাটাগরি ব্যবহার করতে হবে। আর এটা হাই কোয়ালিটি আর্টিকেল এর ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

পরিশেষে বলব : এতক্ষণ আমি আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করলাম । যদি এগুলো ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না । ধন্যবাদ ।

আরো পড়ুন :

I always like to learn new things and spread them. Therefore, my main goal is to highlight various new topics related to online business, online income, blogging and information technology.

Leave a Comment