১৬টি সেরা উপায়ে অল্প পুজিতে ব্যবসা করার আইডিয়া ২০২৪

আপনি কি অল্প পুজিতে ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এ আর্টিকেলটা আপনার জন্য।

বর্তমান সময়ে ব্যবসা সবাই করতে চায়। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ মূলধন না থাকার কারণে ব্যবসা করার স্বপ্ন পূরণ করতে সাহস পায়না।

বর্তমান সমাজে এমন একটি পরিস্থিতি দার হয়ে গিয়েছে যে, মানুষভাবে ব্যবসা করতে প্রচুর পরিমাণ পুঁজি লাগে।

পর্যাপ্ত পরিমাণ পুঁজি না হলে ব্যবসা করা যায় না। অথচ মানুষের এই ধারণাটি একদম ভুল। কেননা কম টাকায় ব্যবসা করা সম্ভব।

আজ আমি অল্প পুজিতে ব্যবসা করার কিছু আইডিয়া দিব ও কি ব্যবসা করা যায় এ সম্পর্কে বলব। ফলে খুব সহজেই ব্যবসা করতে পারবেন ।

অল্প পুজিতে ব্যবসা

Table of Contents

অল্প পুজিতে ব্যবসা ২০২৪

আমি এখানে প্রায় ১৬ টি উপায়ে বলব । এগুলো ফলো করলে আপনি খুব অল্প সময় সফলতার উচ্চ শিখরে পৌঁছে যাবেন।

এর জন্য অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে এবং মেধা ব্যবহার করতে হবে। কেননা এই দুইটি জিনিষ সফলতার চাবি-কাঠি ।

১. চায়ের দোকান 

অল্প পুঁজির ব্যবসা হলো চায়ের দোকান । এ ব্যবসা অনেক চাহিদা পূর্ণ । কেননা শতকরা 90% লোক চা খেতে পছন্দ করে। আমাদের দেশে অলিগলি থেকে শুরু করে প্রতিটি স্থানে চা এর দোকান রয়েছে।

প্রতিটি দোকানই প্রচুর পরিমাণ চা বিক্রি হয়। শহর হলে 24 ঘন্টাই চা বিক্রি হয়। আর গ্রাম হলে রাত বারোটা-একটা পর্যন্ত চা বিক্রি হয়।

বুঝা গেল চায়ের অনেক চাহিদা রয়েছে। অতএব আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন অল্প পুঁজি দিয়ে। এই ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে দুইটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।

১/ স্থান বা জায়গা । অর্থাৎ চা এর দোকান এমন একটি স্থানে স্থাপন করবেন বা বানাবেন যে স্থানে লোকজনের আনাগোনা বেশি এবং সব সময় লোকজন থাকে।

যেমন : শহর হলে বিভিন্ন নামকরা স্থান গুলিস্থান, বাইতুল মুকাররম, শাহবাগ ইত্যাদি। আর গ্রাম হলে বাজার ইত্যাদি।

২/ চায়ের স্বাদ তৈরি করা। অর্থাৎ এরকম মজা করে চা তৈরি করা যাতে করে লোকজন একবার খেলে দ্বিতীয়বার আবার খেতে চায়। এর জন্য চা এর মধ্যে বিভিন্ন ফ্লেভার দিতে পারেন। তাহলে অন্যরকম স্বাদ তৈরি হবে।

আপনি যদি এই দুটি বিষয় ফলো করেন তাহলে খুব দ্রুত চা-এর ব্যবসার মধ্যে সফলতা লাভ করতে পারবেন।

চা তৈরি করার জিনিসপত্র : 

  • চা তৈরি করার একটি মেশিন আর যদি হাতে বানান তাহলে মেশিন লাগবে না।
  • চা এর কাপ অথবা ওয়ান টাইম গ্লাস।
  • চা, চিনি, দুধ ইত্যাদি।

আশাকরি এই আইডিয়াটি ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন ।

আরো পড়ুন :- 

২. অল্প পুজিতে ব্যবসা হলো বিভিন্ন রকম পোশাক তৈরি করে বিক্রি করা

আপনি ঘরে বসে অল্প টাকা খরচ করে বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি করতে পারেন। যেমন : থ্রি পিস , লুঙ্গি , শাড়ি, গামছা , পাঞ্জাবি ইত্যাদি।

এই ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি এবং এ ব্যবসার চাহিদা অনেক বেশি। কেননা অধিকাংশ মানুষই হাতের তৈরি পোশাক পরতে পছন্দ করে।

এ ব্যবসা করার নিয়ম :

এ ব্যবসা শুরু করার জন্য অবশ্যই আপনাকে কয়েকটি নিয়ম ফলো করতে হবে। তাহলে অল্প সময়ে আপনি সফলতার উচ্চশিক্ষার করতে পারবেন।

  • সর্বপ্রথম পোশাক ডিজাইন শিখতে হবে। দুইটি পদ্ধতিতে শিখতে পারবেন। (১) সরাসরি পোশাক ডিজাইনের উপর কোর্স করে। (২) ইউটিউব অথবা বিভিন্ন রকম ওয়েবসাইট থেকে ডিজাইন শিখতে পারেন।
  • কোন ধরনের পোশাক তৈরি করবেন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া। এক সাথে নানা ধরনের পোশাক তৈরি করলে সহজে সফলতা লাভ করা যাবে না। এই কারণে নির্দিষ্ট কয়েকটি পোশাক অথবা একটি পোশাক তৈরি করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
  • গ্রাহকদেরকে টার্গেট করে তৈরি করা। অর্থাৎ আপনি যে সমস্ত গ্রাহকদের জন্য পোশাক তৈরি করছেন তারা কি ধরনের পোশাক পড়ে এবং তাদের চাহিদা কেমন ইত্যাদি এসব বিষয়ে লক্ষ্য করে পোশাক তৈরি করা।
  • কম দামে মানসম্মত পোশাক তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ বর্তমান সময়ে অধিকাংশ গ্রাহকরা কম দামে মানসম্মত  পোশাক খুঁজে থাকে। তাই আপনাকে এ বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
  • আকর্ষণীয় ডিজাইনে পোশাক তৈরি করা। অর্থাৎ নতুন নতুন ডিজাইন যুক্ত পোশাক তৈরি করা। যাতে করে গ্রাহকরা দেখেই আকর্ষিত হয়। এভাবেই আপনি খুব দ্রুত সফলতা লাভ করতে পারবেন।
  • মার্কেটিং করতে হবে। অবশ্যই আপনাকে আপনার পোশাকের জন্য পরিপূর্ণভাবে মার্কেটিং করতে হবে। মার্কেটিং আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে করতে পারেন। যেমন : ফেসবুক, টুইটার, instagram, youtube ইত্যাদির মাধ্যমে। এসব জায়গায় আপনি ফ্রিতে মার্কেটিং করতে পারবেন আবার টাকা খরচ করেও করতে পারবেন। তবে টাকা খরচ করে মার্কেটিং করলে খুব দ্রুত সফলতা লাভ করা যায়।
  • ডেলিভারির ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে ।  অবশ্যই আপনাকে ডেলিভারি ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে। যাতে করে গ্রাহকরা ডেলিভারির ক্ষেত্রে কোন ধরনের হয়রানির সম্মুখীন না হয়। অন্যথায় সফলতার ক্ষেত্রে অনেক ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়াবে। ডেলিভারি আপনি ইচ্ছা করলে নিজের লোকের মাধ্যমে দিতে পারেন। অথবা বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে ডেলিভারি দিতে পারেন।

অতএব আপনি এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেন। আর এই কাজটি পুরো ফ্যামিলি মিলে করতে পারবে। অতএব আপনি যদি এ ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আজই শুরু করে দিন।

৩. তাজা তাজা কাঁচামালের হোম ডেলিভারি

অল্প পুঁজির ব্যবসা হিসেবে এই চমৎকার ব্যবসাটি বেছে নিতে পারেন। এই ব্যবসাটি অনেক আনকমন।

এই ব্যবসায় কম্পিটিশন খুবই কম। তাই এই ব্যবসাটি করলে আপনি খুব সহজেই সফলতা লাভ করতে পারবেন।

কেননা বর্তমানে মানুষ তাজা তাজা শ্বাক-সবজি খেতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে শহরের লোকজন তাজা সবজি পছন্দ করে। আপনি এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন।

এই ব্যবসাটি করার নিয়ম :

  • সর্বপ্রথম আপনি একটি এরিয়াকে টার্গেট করবেন।
  • এরপর গ্রাহকদের সাথে সরাসরি কথা বলবেন।
  • তারপর তাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রতিদিন গ্রাম অঞ্চল থেকে তাজা সবজি সংগ্রহ করবেন।
  • তারপর খুব সহজেই হোম ডেলিভারি দিবেন।

এই ব্যবসা করতে পুঁজি খুবই কম লাগবে। আর সফলতা খুব দ্রুত আসবে। আশা করি আপনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

৪. কম পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা হলো ফুসকার ব্যবসা

এই চমৎকার ব্যবসাটি গ্রহণ করতে পারেন। ফুচকা এমন একটি চমৎকার খাবার যেটা ছোট থেকে বড় সকলেই পছন্দ করে।

ফুচকার চাহিদা কখনো কমবে না বরং ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। অতএব আপনি অল্প পুঁজির ব্যবসা হিসেবে সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন।

এই ব্যবসা করার নিয়ম :

  • এই ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে এমন একটি স্থান বেছে নিতে হবে যেখানে লোক সমাগম হয়। যেমন : স্কুল কলেজ , বাজার ঘাট , বাস স্ট্যান্ড , বড় বড় শোরুম ইত্যাদি এসব জায়গা বেছে নিতে হবে।
  • এরপর বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে ফুচকা তৈরি করার সরঞ্জামি কিনে নিবেন। কেননা পাইকারি বাজারগুলোতে কম মূল্যে পণ্য পাওয়া যায়।
  • ফুচকা অবশ্যই ভালোভাবে তৈরি করতে হবে। এর জন্য আপনি বিভিন্ন পারদর্শী ব্যক্তিদের কাছ থেকে শিখতে পারেন। অথবা ইউটিউব থেকে শিখে নিতে পারেন। কেননা আপনার ফুচকা যত মজা হবে তত গ্রাহক বাড়তে থাকবে।

৫. অল্প পুজির ব্যবসা হলো মোবাইল রিচার্জ ও বিকাশের ব্যবসা

বর্তমানে এই ব্যবসাটার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। কেননা ছোট থেকে বড় প্রতিটা মানুষের হাতেই স্মার্টফোন রয়েছে।

যেহেতু মোবাইল রয়েছে তাহলে তো অবশ্যই রিচার্জ করে। বোঝা গেল রিচার্জের অনেক চাহিদা রয়েছে। রিচার্জের সাথে সাথে বিকাশের ব্যবসা করতে পারেন।

কারণ বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করে । অতএব আপনি রিচার্জের পাশাপাশি বিকাশের ব্যবসা করতে পারেন।

এ দুইটার সাথে মোবাইলের আরো নানান জিনিস দোকানে রাখতে পারেন। এ ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে :

সেটা হল দোকানের জায়গা এমন একটি স্থানে নির্ধারণ করা যেখানে লোক সমাগম হয়। গ্রামের ক্ষেত্রে বাজার। আর শহরে ক্ষেত্রে কোন নামকরা স্থান যেমন গুলিস্থান ইত্যাদি।

৬. অল্প টাকায় লাভজনক ব্যবসা হলো ঘরে খাবার তৈরি করে বিক্রি করা

অল্প পুজিতে ব্যবসা
অল্প পুজিতে ব্যবসা

এই ব্যবসায় অনেক চাহিদা রয়েছে। কেননা বিভিন্ন কারণে মানুষ ঘরে খাবার তৈরি করতে পারে না । তাই বাইরের খাবার খেতে হয় ।

বাইরের খাবারের ক্ষেত্রে অনেকেই হোটেলের খাবার পছন্দ করে না। ঘরোয়া পরিবেশের রান্না পছন্দ করে। অতএব আপনি এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেন।

নানান আইটেমের খাবার তৈরি করে সরাসরি বিক্রি করতে পারেন অথবা অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।

আর অনলাইনে বড় বড় কয়েকটি কোম্পানি রয়েছে যাদের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই বিক্রি করতে পারবেন। যেমন : 

ইত্যাদি এরকম অনেক কোম্পানি রয়েছে যাদের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে খাবার বিক্রি করতে পারবেন।

এই ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি কাজ করতে হবে। সেটা হল খাবার স্বাদ করে তৈরি করা।

আপনার খাবার যত স্বাদ হবে , মজা হবে , ভালো লাগবে মানুষ তত আপনার খাবারের প্রতি আগ্রহী হবে , বারবার আপনার খাবার খেতে চাইবে। তাই অবশ্যই স্বাদ করে খাবার তৈরি করতে হবে। আশা করি আপনি এই অল্প টাকায় বিজনেস আইডিয়াটি সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন ।

৭. কম পুজির ব্যবসা হলো কফি শপ তৈরি করে ব্যবসা।

আমাদের দেশে কফি অনেক জনপ্রিয়। ৬০ থেকে ৮০% লোকই কফি পছন্দ করে। ধীরে ধীরে কফির চাহিদা আমাদের দেশে বেড়েই চলছে।

অতএব আপনি একটি কফি শপ খুলে কফি বিক্রি করতে পারেন। কফি এর ব্যবসায় সফলতা লাভ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে দুইটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।

১. ভালো একটি স্থান বা জায়গা নির্ধারণ করতে হবে। যে সমস্ত জায়গায় মানুষের সমাগম বেশি ঐ সমস্ত জায়গায় দোকান স্থাপন করতে হবে। শহরের ক্ষেত্রে নামকরা স্থান যেমন বাংলাবাজার , গুলিস্তান। আর গ্রামের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাজার , হাট ইত্যাদি।

২/ কফির স্বাদ তৈরি করা। অর্থাৎ এরকম মজা করে কফি তৈরি করা যাতে করে লোকজন একবার খেলে দ্বিতীয়বার আবার খেতে চায়।

কফি তৈরি করতে যে সমস্ত উপকরণ লাগে।

  • কফি তৈরি করার মেশিন অথবা হাত দিয়ে তৈরি করতে পারেন।
  • ওয়ান টাইম গ্লাস অথবা কাপ।
  • চিনি , কফি , দুধ ইত্যাদি
  • একটি চুলা তবে যদি কফি তৈরি করার মেশিন থাকে তাহলে চুলা লাগবেনা।

৮. অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা হলো ব্লগিং করে ব্যবসা

বর্তমানে অন্যতম একটি ব্যবসা। আপনি খুব সহজেই ব্লগিং করতে পারবেন। আর এখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।

হাজার হাজার মানুষ এই ব্লগিং থেকে ইনকাম হয়েছে। অতএব আপনি এই ব্লগিং শুরু করে দিতে পারেন। ব্লগিং করার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে ।

তারপর সেখানে বিভিন্ন আর্টিকেল দিবেন। আপনি এ ব্যাপারে যদি পারদর্শী না হন । তাহলে ইউটিউবে এ ব্যাপারে প্রচুর ভিডিও রয়েছে ।

সেগুলো ফলো করে অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিবেন। এখানে সফল হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে অভিজ্ঞ হতে হবে পাশাপাশি লেগে থাকতে হবে। তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

৯. অল্প টাকায় লাভজনক ব্যবসা হলো ফুলের দোকানের ব্যবসা

ফুলের ব্যবসা বর্তমানে অনেক চাহিদা পূর্ণ। দিন যত যাচ্ছে এই ব্যবসার চাহিদা তত বাড়ছে। তবে খুব কম লোকই এই ব্যবসা করে।

অতএব আপনি যদি এই ব্যবসা শুরু করেন তাহলে খুব দ্রুত সফলতা অর্জন করতে পারবেন। আর এই ব্যবসা শুরু করতে পুঁজি খুব কম লাগে।

যত ধরনের উৎসব হয় ঐ সমস্ত উৎসবে বিভিন্ন ধরনের ফুল রাখার চেষ্টা করবেন। কেননা উৎসবগুলোতে ফুলের বিক্রির পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই আপনাকে এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে হবে।

১০. অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা বাংলাদেশে হলো সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্দিষ্ট কোন পণ্য নিয়ে ব্যবসা করা

অল্প পুজিতে ব্যবসা
অল্প পুজিতে ব্যবসা

বর্তমানে মানুষ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোনো পণ্য বিক্রি করছে আর এভাবে তারা সফলতাও লাভ করছে এবং খুবই লাভবান হচ্ছে।

যেমন : মধুর ব্যবসা , কালোজিরার তেল , থ্রি পিস ইত্যাদি। এই ব্যবসা আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে করতে পারেন।

ইচ্ছা করলো ফ্রিতে মার্কেটিং করতে পারেন অথবা পেইড মার্কেটিং করতে পারেন। তবে পেইড মার্কেটিং করলে দ্রুত সফলতা আসবে ।

এবং খুব সহজেই আপনি আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। এ ব্যবসা আপনি অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করতে পারবেন।

১১. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর ব্যবসা

এই ব্যবসার ও অনেক চাহিদা রয়েছে। জন্মদিন থেকে শুরু করে বিবাহ বার্ষিকী পর্যন্ত নানান ধরনের অনুষ্ঠান হয়।

আপনি এই সমস্ত অনুষ্ঠানের কাজের দায়িত্ব নিতে পারেন। বর্তমানে প্রতিটি মানুষই এসমস্ত অনুষ্ঠান করাতে চায়। এই হিসাবে এই কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই সল্প পুজির ব্যবসা হিসেবে এই ব্যবসা করতে পারবেন ।

এই কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে তাহলে আপনি দ্রুত সফলতা লাভ করতে পারবেন।

  • পুরিপূর্নভাবে মার্কেটিং করতে হবে। যাতে করে মানুষ ধারণা করে যে আপনি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর কাজ করেন।
  • সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে । যাতে করে কোনো ধরনের ত্রুটি বিচ্যুতি না ঘটে।
  • ছোট-বড় প্রত্যেকটি বিষয় খেয়াল রাখা।
  • ছোট থেকে বড় সবার সাথে ভালো ব্যবহার করা।

এই সমস্ত বিষয় ফলো করলে আপনি দ্রুত সফলতা লাভ করতে পারবেন।

১২. অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার আইডিয়া হলো অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কোর্স বিক্রি করা

বর্তমানে এ ব্যবসার অনেক চাহিদা রয়েছে। দিন যত যাচ্ছে চাহিদা তত বাড়ছে। কেননা মানুষ ধীরে ধীরে অনলাইনের প্রতি বেশি ঝুঁকছে।

তাই চাহিদা বেড়েই চলছে। আপনি এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেন। আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ ওই বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের লেকচার তৈরি করবেন।

তারপর বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সেগুলোকে বিক্রি করতে পারেন। অথবা নিজে নিজেই বিক্রি করতে পারেন। কয়েকটি ওয়েবসাইটের নাম দিচ্ছি যেখানে আপনার লেকচার গুলো বিক্রি করতে পারবেন।

১৩. কম টাকায় ব্যবসা হিসেবে ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করতে পারেন।

বর্তমান সময়ে সকলে ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করে। বিশেষ করে সুযোগ পেলেই মানুষ ভ্রমণ করতে চায়। কেমন যেন তাদের ভ্রমণ করা‌ নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে।

অতএব এই ব্যবসাটি অনেক চাহিদা পূর্ণ। ভবিষ্যতে এর চাহিদা বাড়তেই থাকবে। আপনি এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন। আর এই ব্যবসাটি অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করতে পারেন।

এই ব্যবসা করার নিয়ম :

এই ব্যবসা ছোট আকারে করা যায় এক্ষেত্রে পুঁজি কম লাগবে। আবার বড় আকারে করা যায় এক্ষেত্রে পুঁজি অনেক বেশি লাগবে।

যেহেতু আমাদের পুজি কম। তাই আমরা ছোট আকারে এই ব্যবসা শুরু করব।

অতএব ছোট আকারে ব্যবসা করার নিয়ম হলো :

আমাদের কয়েক ধরনের সার্ভিস দিতে হবে। এক্ষেত্রে পুঁজি একেবারে কম লাগবে। তবে পরিশ্রম বেশি হবে এবং নিজেদের মেধা ব্যয় হবে। সার্ভিস গুলো হল : 

  • বাসের টিকিট কেটে দেওয়া বাসের মালিকদের সাথে কথা বলে।
  • হোটেলের রুম বুকিং দেওয়া।
  • বিমানের টিকিট কেটে দেওয়া।
  • খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া।

ইত্যাদি এরকম ছোট ছোট কাজ করে এই ট্রাভেলিং ব্যবসা করতে পারেন।

আরো পড়ুন :- সঠিক উপায়ে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা করার নিয়ম

১৪. গ্রামে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা হলো মাছ চাষ করা ।

মাছ আমাদের সকলের কাছে জনপ্রিয় একটি খাবার। মাছের চাহিদা অনেক বেশি। এর চাহিদা কখনো কমবে না। অতএব আপনি অল্প পুঁজি খাটিয়ে এই মাছ চাষের ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসা করতে গেলে পুঁজি বেশি লাগে না বরং একদম অল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।

এ ব্যবসা করার নিয়ম :

  • এই ব্যবসা শুরু করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সর্বপ্রথম এ ব্যাপারে ভালো আইডিয়া নিতে হবে।
  • যারা অভিজ্ঞ তাদের কাছ থেকে ট্রেনিং নিতে হবে। অন্যথায় লস খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • তারপর অভিজ্ঞ হওয়ার পর মাছ চাষ শুরু করবেন।
  • পুকুরে মাছ চাষ করতে পারেন যদি পুকুর থাকে। অন্যথায় বাড়ির ছাদ অথবা উঠানেও পুকুরের সিস্টেম করে মাছ চাষ করতে পারেন।
  • মাছ চাষ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ঐ সমস্ত মাছ চাষ করবেন যে সমস্ত মাছের চাহিদা অনেক বেশি।

এ সমস্ত বিষয় ফলো করে মাছ চাষ করলে অবশ্যই আপনি সফলতা লাভ করতে পারবেন।

১৫. চা পাতার ডিলারশিপ হল অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা

চা এটা অনেক জনপ্রিয় খাবার। চায়ের অনেক চাহিদা রয়েছে। ছোট থেকে বড় সকলে চা পছন্দ করে। এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। এই সুযোগটি আপনি খুব সহজে কাজে লাগাতে পারেন। অল্প পুজি দিয়ে চা পাতার ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

এ ব্যবসা করার নিয়ম :

  • ভালো মানের চা সাপ্লাই দিতে হবে।
  • বড় বড় মার্কেটপ্লেস থেকে চা পাতা সংগ্রহ করতে হবে। কেননা এ ক্ষেত্রে অনেকটা কম দাম পাওয়া যাবে।
  • ছোট ছোট দোকান গুলোতে সাপ্লাই দিবেন সততার সাথে।

অল্প পুঁজি হিসেবে এই ব্যবসাটা অনেক পারফেক্ট। আশা করি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

১৬. অল্প টাকায় বিজনেস আইডিয়া হিসেবে মুদি দোকানের ব্যবসা করতে পারেন ।

অল্প পুঁজিতে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হল মুদি দোকানের ব্যবসা। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে চাহিদা পণ্য একটি ব্যবসা। কেননা মুদি দোকানে সকল ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায়।

অতএব আপনি এই ব্যবসাটি খুব অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করতে পারবেন। এরপর ধীরে ধীরে অনেক বড় পর্যায়ে নিয়ে যাবেন।

এই ব্যবসা যে করার নিয়ম :

  1. এই ব্যবসা করার জন্য শুরুতেই আপনাকে ভালো একটি জায়গা নির্ধারণ করতে হবে।
  2. জায়গা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে এমন একটি জায়গা নির্বাচন করবেন যেখানে লোকসমাগম হয়।
  3. যে সমস্ত পণ্যের চাহিদা বেশি ঐ সমস্ত পণ্য নিয়ে শুরু করবেন।
  4. সম্ভব হলে আপনার প্রতিযোগী যারা তাদেরকে ফলো করবেন। এতে আপনার পরিপূর্ণ ধারণা হয়ে যাবে।
  5. মানুষ সাথে ভালো ব্যবহার করবেন।
  6. সঠিক দাম রাখার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার কাছে দ্বিতীয়বার ঐ গ্রাহক আবার আসবে।

এ সমস্ত শর্তগুলো ফলে করে এই ব্যবসা শুরু করলে খুব অল্প সময়ে সফলতা লাভ করতে পারবেন।

পরিশেষে বলব : উপরে অল্প পুজিতে ব্যবসা ২০২৩ সম্পর্কে ১৬টি আইডিয়া দিলাম। আশাকরি আপনি কম টাকায় কি ধরনের ব্যবসা করা যায় এ ব্যপারে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন ।

যদি এই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং উপকারে আসে তাহলে জানাবেন । আর অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।।

আরো পড়ুন :-

FAQ

অল্প পুজিতে কি কি ব্যবসা করা যায় ?

অনেক ব্যবসা করা যায় । কয়েকটি ব্যবসার নাম বলছি ।
১. ঘরে বিভিন্ন রকম পোশাক তৈরি করে বিক্রি করা ।
২. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর ব্যবসা ।
৩. ফুলের দোকানের ব্যবসা ।
৪. ব্লগিং করে ব্যবসা ।
৫. মোবাইল রিচার্জ ও বিকাশের ব্যবসা ।
ইত্যাদি আরো নানা রকম ব্যবসা করা যায় । আরো বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন ।

অল্প টাকায় কি ব্যবসা করা যায় ?

হ্যা নানা রকম ব্যবসা করা যায় । যেমন :
১. চায়ের দোকান
২. ঘরে খাবার তৈরি করে বিক্রি করা
৩. কফি শপ তৈরি করে ব্যবসা।
৪. নির্দিষ্ট কোন পণ্য নিয়ে ব্যবসা
৫. অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কোর্স বিক্রি করা
ইত্যাদি আরো নানা রকম ব্যবসা করা যায় । আরো বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন ।

কম খরচে কি ব্যবসা করা যায় ?

চা পাতার ডিলারশিপ নিয়ে কম খরচে চমৎকার ব্যবসা করতে পারবেন ।চা এটা অনেক জনপ্রিয় খাবার। চায়ের অনেক চাহিদা রয়েছে। কখনো এর চাহিদা কমবে না । কম খরচে হিসেবে এই ব্যবসাটা অনেক পারফেক্ট। এ ব্যবসায় সফলতা লাভ করার কয়েকটি শর্ত রয়েছে ।
যেমন : ১. ভালো মানের চা সাপ্লাই দিতে হবে।
২.বড় বড় মার্কেটপ্লেস থেকে চা পাতা সংগ্রহ করতে হবে।
আরো বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন ।

I always like to learn new things and spread them. Therefore, my main goal is to highlight various new topics related to online business, online income, blogging and information technology.

Leave a Comment