রোমানিয়া ভিসার দাম কত ২০২৩ ও রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি কোথায় ?

আপনি রোমানিয়া ভিসার দাম কত এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন ? তাহলে এই লেখাটি শুধু আপনার জন্য।

বর্তমান সময়ে রোমানিয়া খুবই উন্নত একটি দেশ হিসেবে পরিণত হয়েছে। রোমানিয়া ইউরোপের দেশগুলো মধ্য থেকে একটি প্রসিদ্ধ দেশ।

এ দেশের চতুর্দিকে ইউক্রেন ,  সার্বিয়া ইত্যাদির মত দেশ রয়েছে। এ দেশের মুদ্রার মান অনেক বেশি বাংলাদেশের তুলনায়।

পাশাপাশি এই দেশে অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লোক রোমানিয়া যাচ্ছে।

অনেকেই আবার যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এজন্য তারা রোমানিয়ার ভিসার দাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে।

তাই আজ আমি আপনাদের সুবিধার্থে রোমানিয়া ভিসার দাম কত ও রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে।

পাশাপাশি রোমানিয়া যেতে কত বয়স লাগে ইত্যাদি এরকম নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

যাতে করে আপনি রোমানিয়া ভিসা সংক্রান্ত নানান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারেন।

এজন্য আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি আপনার ভিসা সংক্রান্ত সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

রোমানিয়া ভিসার দাম কত

রোমানিয়া ভিসার দাম কত ২০২৩ ?

স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশ থেকে দুইভাবে যেতে পারবেন। (১)  সরকারিভাবে। এক্ষেত্রে ভিসার দাম একটু কম লাগবে ।

(২) আর যদি আপনি বেসরকারিভাবে কোন এজেন্সির মাধ্যমে রোমানিয়ায় যেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে দামে একটু বেশি লাগবে ।

রোমানিয়া যাওয়ার জন্য চার ধরনের ভিসা হয়ে থাকে।

  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। সাধারণত ৮ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মত লাগবে।
  • টুরিস্ট ভিসা । ৩ লক্ষ থেকে চার লক্ষ টাকার মত লাগবে।
  • স্টুডেন্ট ভিসা । ৮ লক্ষ থেকে নয় লক্ষ টাকার মত লাগবে।
  • মেডিকেল ভিসা । চার লক্ষ থেকে সাড়ে চার লক্ষ টাকার মতো লাগে।

তবে কাজের উপর ভিত্তি করে ভিসার দাম কম বেশি হতে পারে। রোমানিয়ায় যেতে মোটামুটি টাকা অনেক বেশি লাগে।

কেননা ইউরোপ কান্ট্রি গুলোতে যেতে টাকা বেশি লাগে। তবে এখানে বেতন অনেক বেশি পাওয়া যায়। আশা করি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

রোমানিয়া যেতে কত বয়স লাগে ?

আপনি যদি রোমানিয়ায় যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার সর্বনিম্ন 18 বছর হতে হবে। আপনার যদি 18 বছরের কম বয়স হয় ।

তাহলে আপনি কখনো রোমানিয়ায় যেতে পারবেন না। অতএব আপনার যদি ১৮ বছরের উপরে বয়স হয়ে থাকে তাহলে আপনি নির্দ্বিদায় রোমানিয়াতে যেতে পারবেন।

কোন ধরনের বাধার সম্মুখীন হবেন না। আশা করি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে ?

রোমানিয়া ভিসার দাম কত

কাজের উপর ভিত্তি করে টাকা কম বেশি লাগতে পারে। সব একরকম ভিসা নয় বরং ভিন্ন ভিন্ন ভিসা । যেমন :

  • গার্মেন্টস ভিসা
  • ড্রাইভিং ভিসা
  • রেস্টুরেন্ট ভিসা
  • ব্যবসার জন্য ভিসা
  • টুরিস্ট ভিসা
  • স্টুডেন্ট ভিসা

ইত্যাদি এরকম নানান ভিসা রয়েছে। আমি নিচে প্রতিটা ভিসার দাম বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। অতএব আপনাকে মনোযোগ সহকারে ও ধৈর্য সহকারে পড়তে হবে।

রোমানিয়া গার্মেন্টস ভিসার দাম কত ?

আপনি যদি রোমানিয়ায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে যেতে চান। তাহলে এক্ষেত্রে  আপনার ৮ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ লেগে যেতে পারে। একটু কম বেশি হতে পারে।

আর এক্ষেত্রে প্রতিমাসে ৭০ হাজার থেকে ৮০০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন ।গার্মেন্টস ভিসায় রোমানিয়া সরকার প্রচুর কর্মী নিচ্ছে।

গার্মেন্টস সেক্টরে কাজের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। আপনি যদি রোমানিয়ায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে যেতে চান ।

তাহলে আজ এজেন্সির সাথে কথা বলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।

রোমানিয়া ড্রাইভিং ভিসার দাম কত ?

অনেকেই ভালোভাবে গাড়ি চালাতে পারেন। এই কারণে রোমানিয়া  ড্রাইভিং ভিসায় যেতে চাচ্ছেন।

রোমানিয়া ড্রাইভিং ভিসার দাম হল ৮ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মতো খরচ লেগে যেতে পারে। একটু কম বেশি হতে পারে।

আপনি জেনে খুশি হবেন ড্রাইভিং কাজের বেতন বেশি। অর্থাৎ ড্রাইভিং কাজে  আপনি প্রতিমাসে ১ লক্ষ টাকা থেকে দেড় লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যদি রোমানিয়া  যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি এজেন্সির সাথে কথা বলে যেতে পারবেন।

রোমানিয়া রেস্টুরেন্ট ভিসা দাম কত ?

আপনি যদি রেস্টুরেন্টে কাজ করে থাকেন। পাশাপাশি কাজের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা থাকে। তাহলে আপনার জন্য সুবর্ণ একটি সুযোগ।

আপনি রেস্টুরেন্টের কাজের জন্য যেতে  পারেন। এক্ষেত্রে ভিসার মূল্য হল ৮ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মত। একটু কম বেশি হতে পারে।

এক্ষেত্রে প্রতি মাসে ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে আজ এজেন্সির সাথে কথা বলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।

আরো পড়ুন : 

রোমানিয়ার ব্যবসায়িক ভিসার দাম কত ?

অনেকেই রোমানিয়ায় ব্যবসার জন্য যেতে চায়। যেহেতু রোমানিয়া উন্নত দেশে হিসেবে পরিণত হচ্ছে।

সে হিসেবে সেখানে ব্যবসা করা অনেক সহজ এবং অনেক লাভবান হওয়া যাবে।
ব্যবসার ভিসার মূল্য হল : ৩ লক্ষ থেকে চার লক্ষ টাকার মত লাগবে। একটু কম বেশি হতে পারে।

তাহলে আজ এজেন্সির সাথে কথা বলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন। আশা করি আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

রোমানিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম কত ?

অনেকেই দেশ ভ্রমণ করেন টুরিস্ট হিসেবে । যেহেতু রোমানিয়া উন্নত দেশে হিসেবে পরিণত হচ্ছে।এই দেশ দেখতে সুন্দর ।

তাই অনেকেই টুরিস্ট হিসেবে রোমানিয়ায় যেতে চাচ্ছে । এ ক্ষেত্রে ভিসার দাম হিসেবে ৩ লক্ষ থেকে চার লক্ষ টাকার মত লাগবে। মতো লাগতে পারে।

একটু কম বেশি হতে পারে। আশা করি আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

রোমানিয়া স্টুডেন্ট ভিসার দাম কত ?

আপনি যদি লেখাপড়ার জন্য রোমানিয়া  যেতে চান। তাহলে আপনি খুব সহজে রোমানিয়া যেতে পারেন ডিগ্রী অর্জন করার জন্যে।

এ ক্ষেত্রে ভিসার দাম হিসেবে ৮ লক্ষ থেকে নয় লক্ষ টাকার মত লাগবে। মতো লাগতে পারে। একটু কম বেশি হতে পারে।

তাহলে আজ এজেন্সির সাথে কথা বলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন

রোমানিয়া ভিসা আবেদন ফরম কিভাবে পূর্ণ করব ?

ভিসা আবেদনের জন্য কয়েকটি কাজ করতে হবে ।

  • ভিসার আবেদন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে রোমানিয়ার দূতাবাসে যেতে হবে। যেহেতু আমাদের বাংলাদেশে রোমানিয়ার দূতাবাস নেই তাই ঢাকায় অবস্থিত বিএমইটি ভবনের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করবেন। সেখান থেকে আপনাকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।
  • এরপর পাসপোর্ট এর তথ্য অনুযায়ী সেই ফরম পূরণ করবেন।
  • এরপর আপনাকে আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। যেমন : নিম্নে এক বছর মেয়াদে পাসপোর্ট লাগবে ,পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট , কাজের সার্টিফিকেট (যদি থাকে)। ,জাতীয় পরিচয় পত্র ইত্যাদি রকম প্রয়োজন কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
  • সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড ছবি লাগবে।
  • ভিসার ফি প্রদান করতে হবে।
  • এরপর আপনাকে ১৫- ৬০ দিনের মতো অপেক্ষা করতে হবে।

রোমানিয়া ভিসা আপডেট ২০২৩

রোমানিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে প্রায় এক লক্ষ লোক নিবে। আগের বছর পাঁচ হাজার লোক নিয়েছিল।

২০২৩ সালে মোটামুটি ১৫ হাজার লোক নিবে। এ বছর ১৫ হাজার এর মত ভিসা দিচ্ছে রোমানিয়া সরকার ।

ভবিষ্যতে আরও লোক নেবে। অতএব এটা বাংলাদেশীদের জন্য খুবই সুবর্ণ সুযোগ। আগের মত রোমানিয়ার ভিসা পাওয়া কঠিন নয় । বরং অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে ।

রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি কোথায় ?

রোমানিয়া ভিসার দাম কত

রোমানিয়ার ভিসার জন্য আমাদের আগে ইন্ডিয়াতে যেতে হতো। তবে খুশির খবর হলো বর্তমানে ঢাকায় রোমানিয়ার ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি রয়েছে।

কিছু এজেন্সি এ রকম রয়েছে। তারা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে রোমানিয়া নিয়োগ কর্তাদের থেকে অ্যাপ্রভাল নিয়ে আসে।

অনেক এজেন্সি প্রতারক থাকে। তাই অবশ্যই এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। তাদের লাইসেন্স নাম্বার এবং আর এল নাম্বার ভালোভাবে দেখতে হবে। এরপর তাদের মাধ্যমে রোমানিয়া যাওয়ার চেষ্টা করবেন।

তবে সবচেয়ে ভালো হয় বিএমইটি ভবনের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করবেন। তাহলে এক্ষেত্রে প্রতারিত বা ধোকা খাওয়ার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আশা করি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

পরিশেষে বলবো:

উপরে রোমানিয়া ভিসার দাম কত ও রোমানিয়ার ভিসা বিষয়ক নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা  করলাম।

আশাকরি আপনি অনেক উপকার পেয়েছেন। লেখা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।

FAQ

রোমানিয়া ভিসা পেতে কত দিন লাগে ?

রোমানিয়া ভিসা পেতে সর্বনিম্ন ১৫ দিন অপেক্ষা করহে হবে । আর সর্বচ্চ ৬০ দিন অপেক্ষা করতে হবে । কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৯০ দিন থেকে ১২০ দিন লাগতে পারে ।

রোমানিয়া ভিসা ফর বাংলাদেশ

অনেকেই বলে থাকে রোমানিয়ার ভিসা কোথায় পাব ? এক্ষেত্রে আমি বলব। ঢাকায় অবস্থিত বিএমইটি ভবনের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করবেন। তাহলে এক্ষেত্রে প্রতারিত বা ধোকা খাওয়ার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আশা করি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

বাংলাদেশে রোমানিয়া দূতাবাস আছে কি ?

এখনো বাংলাদেশে রোমানিয়া দূতাবাস নেই। অস্থায়ীভাবে এখানে ঢাকায় অবস্থিত বিএমইটি ভবনের মাধ্যমে কাজ হচ্ছে । ভবিষ্যতে হয়তো স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে রোমানিয়া দূতাবাস হয়ে যাবে।

আমি সব সময় নতুন কিছু শিখতে এবং তা ছড়িয়ে দিতে পছন্দ করি। তাই অনলাইন ব্যবসা ,অনলাইন ইনকাম , ব্লগিং এবং তথ্য- প্রযুক্তি বিষয়ক নানান নতুন বিষয় তুলে ধরাই হলো আমার মূল লক্ষ্য।

Leave a Comment