১৮টি পদ্ধতিতে অল্প সময়ে পরীক্ষায় ভালো করার উপায়

আপনি কি অল্প সময়ে পরীক্ষায় ভালো করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

প্রতিটি মানুষেরই পরীক্ষা নিয়ে অনেক চিন্তা থাকে। মূলত এই চিন্তা পরীক্ষা ভালো করার ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হয়। যে পরীক্ষা নিয়ে কোন চিন্তা করেনা তার পরীক্ষার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অনেকটাই কমতি দেখা যায়।

যেহেতু পড়ালেখা আছে তাই পরীক্ষাও আছে। এই পরীক্ষা থেকে রক্ষা পাওয়ার কোন উপায় নেই। সবাই চায় পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে।

তাই আমি অল্প সময়ে পরীক্ষায় ভালো করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।পাশাপাশি এ সম্পর্কে নানান খুটি-নাটি বিষয় তুৃলে ধরব । যাতে করে ১০০% সফলতা অর্জন করতে পারেন ।

পরীক্ষায় ভালো করার উপায়

Table of Contents

পরীক্ষায় ভালো করার উপায়

নিচে আমি ১৮টি উপায় বলব । এগুলো অবশ্যই আপনাকে ফলো করতে হবে । যদি এগুলো ফলো করেন তাহলে পরিক্ষায় আপনার সফলতা সুনিশ্চিত । চলুন আলোচনা শুরু করা যাক ।

১/ পরিকল্পনা করুন

অর্থাৎ পরিকল্পনা ব্যতীত কোন কাজে পরিপূর্ন সফলতা অর্জন করা যায় না। অতএব পড়ালেখা শুরু করার পূর্বে আপনি আপনার পড়াশোনা সম্পর্কে একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন।

এতে করে সময় নষ্ট হবে না । অল্প সময়ে অনেক বেশি পড়া যাবে।

২/ বিরতি নেওয়া

অর্থাৎ পরীক্ষায় ভালো করার আরেকটি উপায় হল । পড়ালেখার মাঝে অল্প সময়ে জন্য বিরতি নেওয়া। কেননা পড়তে পড়তে ক্লান্ত চলে আসে।

তখন অনেক চেষ্টা করার পরেও পড়ালেখায় পরিপূর্ণ মনোযোগ আসে না। তাই তখন যদি অল্প সময় বিরতি নেওয়া হয়। ওই ক্লান্তি ভাবটা দূর হয়ে যাবে।

তারপর থেকে পড়তে বসলে পড়ালেখায় আবার সেই মনোযোগ ফিরে আসবে।

৩/ অল্প সময়ে পরীক্ষায় ভালো করার উপায় হলো লেখালেখি করা 

অর্থাৎ পড়ার পাশাপাশি লেখার মধ্যেও অভ্যস্ত হতে হবে। আমাদের মাঝে অধিকাংশেই শুধু পড়ে কিন্তু লেখেনা।

যার ফলে পরীক্ষার খাতায় প্রচুর বানান ভুল হয় ও লেখা সুন্দর হয় না। এই কারণে পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পাওয়া যায় না।
তাই পড়ার পাশাপাশি লেখার মধ্যেও অভ্যস্ত হতে হবে।

তাহলে আপনার ভুলগুলো নিজে ধরতে পারবেন। এবং পরীক্ষার খাতায় ভাল নাম্বার পাবেন । যেরকম আশা করবেন তেমনি পাবেন।

আরো পড়ুন :- এসাইনমেন্ট কিভাবে লিখতে হয় ?

৪/ গ্রুপ স্টাডি করে পড়া

অর্থাৎ গ্রুপ স্টাডি করে পড়া। কেননা এর দ্বারা ওই বিষয়ের খুঁটিনাটি জিনিসগুলো জানা যায়। আর গ্রুপ স্টাডি করে পড়লে পড়া খুব দ্রুত মুখস্থ হয়। পাশাপাশি নিজের ভুলগুলো ধরা যায়।

৫/ ক্লাসে উপস্থিত থাকা

অর্থাৎ নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা। এর দ্বারা অনেক খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানতে পারবেন। শিক্ষক কি বুঝাতে চাচ্ছেন তা পরিপূর্ণভাবে বুঝতে পারবেন ।

পরীক্ষায় কোনটা আসবে বা আসবে না অনেক সময় শিক্ষক বলে দিয়ে থাকেন।আর এটা পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনেক কাজে দেবে।

৬/ পরীক্ষায় সফল হওয়ার উপায় হলো ঠিকমতো ঘুমানো

ঠিকমতো ঘুমানো। কেননা এর দ্বারা মাথা ঠিক থাকে পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ঠিক থাকে। যেহেতু মাথা ও স্বাস্থ্য ঠিক থাকে তাই পড়ালেখায় মনোযোগ বেড়ে যায়।

আর পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়লে পড়ালেখা ঠিকমত হবে। পড়ালেখা ঠিকমত করলে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা যাবে।

৭/ নোট তৈরি করে পড়া

অর্থাৎ পড়ালেখার সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলোকে নোট করা। এর দ্বারা পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ে। এবং পড়ালেখার চাপ কমে যায়।

ফলে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হয়। আর পরীক্ষায় প্রস্তুতি ভালো হলে পরীক্ষায় সফল হওয়ার আশা করা যায়।

৮/  সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা

পরীক্ষার খাতায় সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা। এর দ্বারা শিক্ষকদেরকে আকর্ষণ করে। আর এটা নাম্বার বেশি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হয়।

আরেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হলো: আপনি যদি অনেক প্রস্তুতি নেন পরীক্ষার কিন্তু খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করলেন না তাহলে এরকম প্রস্তুতির কোন দাম নেই।

অতএব আপনাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে লিখতে হবে।

৯/ পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনের টেকনিক হলো পড়ালেখার পরিবেশ তৈরী করে পড়তে বসুন

অর্থাৎ পরীক্ষায় ভালো করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল পরিবেশ তৈরি করা। পরিবেশ তৈরি করার জন্য কয়েকটি কাজ আপনাকে করতে হবে।

  • প্রথমে আপনি আপনার মোবাইলকে আপনার থেকে দূরে রাখুন। পারলে বন্ধ করে রাখুন।
  • হইচই, হট্টগোল ইত্যাদি বিভিন্ন রকম আওয়াজ থেকে দূরে গিয়ে পড়ুন।
  • পর্যাপ্ত আলোর নিচে পড়তে বসুন। কেননা রুমে আলো কম হলে মাথা ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি পড়ালেখায় মনোযোগ কমে যায়।
  • চেয়ার টেবিলে বসে পড়ুন। কেননা বিছানায় বসে পড়লে অলসতা আসবে তারপর পড়ালেখায় মনোযোগ কমে যাবে। তারপর শুতে মন চাবে। এভাবে আর লেখাপড়া হবে না।

১০/ হাইলাইট করুন

ইম্পর্টেন্ট অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ পড়াগুলো কোন কলম দিয়ে হাইলাইট করুন। এতে করে প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হয়। আর ইম্পরট্যান্ট পড়াগুলো দ্রুত মুখস্থ হয়ে যায়।

পাশাপাশি অল্প সময়ে গুরুত্বপূর্ণ পড়াগুলো আয়াত্ব হয়ে যায় । অতএব অবশ্যই এই টেকনিকটি ফলো করুন ।

১১/ পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় হলো পুরাতন প্রশ্ন থেকে আইডিয়া নিন

বিগত বছরের পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন থেকে আইডিয়া নেওয়া। এতে করে জানা যায় পরীক্ষায় কি রকম প্রশ্ন আসবে ?

তবে সাবধান এই সমস্ত প্রশ্নের উপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। বরং এ সমস্ত প্রশ্ন থেকে আইডিয়া নিতে হবে।

১২/ প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন মুখস্ত করুন 

অর্থাৎ ক্লাসে যে প্রতিদিন পড়া দেয় সেই পড়া মুখস্ত করুন। এবং বিশেষ বিশেষ জায়গা গুলো নোট করে রাখুন।

এই কাজটা পরীক্ষার মধ্যে অনেক কাজে দিবে। এবং পরীক্ষার মধ্যে সফল হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ভূমিকা রাখবে।

১৩/ সময় নির্ধারিত করুন

অর্থাৎ  পড়ালেখার জন্য সময় নির্ধারণ করা। প্রথমে একটি সময় নির্ধারণ করুন যে এত ঘন্টা থেকে এত ঘণ্টা লেখাপড়া করবেন।

পাশাপাশি প্রত্যেকটি সাবজেক্টের জন্য আলাদা আলাদা সময় নির্ধারণ করুন। এর ফলে অল্প সময়ে আপনি অনেক পড়ালেখা করতে পারবেন।

পাশাপাশি পড়ালেখায় মনোযোগ বেড়ে যাবে। আর পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়লে পরীক্ষায় সফল হওয়া যাবে।

১৪/ পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার উপায় হলো পরীক্ষা দেওয়া

অর্থাৎ পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য প্রতি সাপ্তাহে অথবা প্রতিমাসে আপনি যা শিখেছেন তার উপর পরীক্ষা দিন।

তাহলেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনি কতটুক শিখতে পেরেছেন। এর কারণে আপনার নিজের উপর আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে এবং পরীক্ষার ভয় দূর ভীত হয়ে যাবে।

পাশাপাশি পিছনের পড়া গুলো মনে থাকবে এবং পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হবে। ফলে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট হবে।

১৫/ বারবার পড়া

অর্থাৎ কোন পড়া যদি কঠিন হয়। তাহলে সেটা মুখস্থ করার জন্য বারবার পড়া। যাতে করে ব্রেনে ওই পড়াটা বসে যায়।

পাশাপাশি কয়েকবার লেখা। কেননা একটি কথা আছে একবার লেখা দশবার পড়ার সমান। তবে যে সমস্ত বিষয় কঠিন না সেগুলোও কয়েকবার পড়া।

যাতে করে ব্রেনে বসে যায়। আর এর দ্বারা পরীক্ষা ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হয়।

১৬/ পরীক্ষায় সফল হওয়ার উপায় হলো পরীক্ষার প্রস্তুতি অনেক আগে থেকে নেওয়া 

পরীক্ষা আসার আগে থেকেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া। যাতে করে পরীক্ষার সময় চাপ না পড়ে। কেননা যদি আগে থেকে প্রস্তুতি না নেওয়া হয়।

তাহলে পরীক্ষার সময় মনে হবে মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়ছে পরীক্ষার চাপের কারণে। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হল পরীক্ষা আসার আগে থেকেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া।

এতে করে পরীক্ষার সময় চাপ কম হয় পাশাপাশি পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ে। এবং পরিপূর্ণভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া যায়।

আর পরিপূর্ণভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষায় অবশ্যই সফল হওয়া যাবে।

১৭/ পরীক্ষার সময় তাড়াতাড়ি ঘুমানো

অর্থাৎ পরীক্ষায় ভালো করার একটি উপায় হল পরীক্ষার আগের রাত্রে তাড়াতাড়ি ঘুমানো। পরীক্ষার সমস্ত প্রস্তুতি পরীক্ষার আগের দিনে শেষ করবে এবং পরীক্ষার রাত্রে তাড়াতাড়ি ঘুমাবে।

যাতে করে মাথা ঠান্ডা থাকে। কেননা যদি পরীক্ষার রাত্রে জাগা হয় তাহলে মাথা গরম থাকবে। আর মাথা গরম থাকলে পরীক্ষার হলে গিয়ে কোন কিছুই মনে আসবে না।

তাই মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য আগে আগেই ঘুমাতে হবে।

১৮/  উৎসাহ দেওয়া 

অর্থাৎ নিজেকে সর্বদা উৎসাহ দেওয়া যে, আমি অবশ্যই পারবো। সবাই যেহেতু পারে আমিও পারবো। এবং বড় বড় সফল মানুষদের জীবনী পরে উৎসাহ নেওয়া এবং সর্বদা ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করা।

সর্বশেষ কথা হল : এতক্ষণ প্রায় ১৮ টি পরীক্ষায় ভালো করার উপায় বললাম। যদি এগুলো ফলো করেন তাহলে আশা করি ইনশাআল্লাহ অবশ্যই পরীক্ষায় সফল হবেন।

পরীক্ষার রুমে কি কি করলে ফলাফল ভালো হবে ?

 কয়েকটি কাজ করলে পরীক্ষা ভালো হবে ।
১/ পরীক্ষার হলে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। এর জন্য পরীক্ষার সকালে অল্প সময় হলেও ঘুম পাড়া। পড়ালেখা বেশি না করা। পরীক্ষার জন্য যত প্রস্তুতি আছে পরীক্ষার আগের রাতেই শেষ করা এবং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়া। তাহলে আপনার মাথা ঠান্ডা থাকবে।
২/ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে সর্বপ্রথম ভালোভাবে প্রশ্ন গুলো বুঝা।
৩/ যে সমস্ত প্রশ্ন সহজ লাগে সেগুলোর উত্তর আগে দেওয়া।
৪/পরীক্ষার সময় তাড়াহুড়া না করে ধীর স্থির ভাবে পরীক্ষা দেওয়া।
৫/ উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সময় এর প্রতি লক্ষ্য রাখা। যাতে করে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন।

কিভাবে পরীক্ষায় ভালো করা যায় ?

অনেকগুলো উপায়ে পরিক্ষা ভালো করা যায় । যেমন :
১. পরীক্ষার প্রস্তুতি অনেক আগে থেকে নেওয়া
২. ক্লাসে উপস্থিত থাকা
৩. নোট তৈরি করে পড়া
৪. লেখালেখি করা 
৫. গ্রুপ স্টাডি করে পড়া
ইত্যাদি এসব উপায়ে পরিক্ষা ভালো করা যায় । আরো উপায় জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন ।

1 thought on “১৮টি পদ্ধতিতে অল্প সময়ে পরীক্ষায় ভালো করার উপায়”

Leave a Comment