টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করার ৫টি উপায়

আপনি কি টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করতে চান ? যেমনিভাবে বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেল , ফেসবুক ইত্যাদি থেকে ইনকাম করা যায় ঠিক তেমনিভাবে এটা থেকেও খুব সহজে ইনকাম করা যায়।

আজ আমি টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করার নানান পদ্ধতি বলব। ফলে এখান থেকে আপনি খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন।

টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম
টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম

আসলেই কি টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করা যায় ?

হ্যাঁ অবশ্যই ইনকাম করা যায়। বর্তমান হাজার হাজার মানুষ ইনকাম করছে।

ইনকাম করার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে।

  • সর্বনিম্নে চার থেকে পাঁচ হাজার মেম্বার বা ফলোয়ার থাকতে হবে।
  • নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করতে হবে।
  • ফলোয়ার দেরকে ধরে রাখার জন্য আকর্ষণীয় পোস্ট করতে হবে।
  • সব সময় ফলোয়ার বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। কেননা আপনার ফলোয়ার যত বেশি হবে ইনকাম তত বেশি হবে।

টেলিগ্রাম একাউন্ট খোলার নিয়ম

সর্বপ্রথম আপনি টেলিগ্রাম অ্যাপ ডাউনলোড করে নিবেন। এরপর আপনার সর্ব প্রথম কাজ হলো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা। এর জন্য আপনি আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে টেলিগ্রাম একাউন্ট খুলতে

পারবেন। কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই। একবার আপনাকে একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে। চ্যানেল এর নামটা আকর্ষণীয় দিবেন। যাতে করে আপনার ফলোয়ার দ্রুত বাড়ে। এরপর নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট পাবলিশ করতে থাকবেন। যাতে করে আপনার ফলোয়ার দ্রুত চার থেকে পাঁচ হাজার হয়ে যায়।

টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম

যখন আপনার চার থেকে পাঁচ হাজার ফলোয়ার হয়ে যাবে তখন আপনি নিম্নে পদ্ধতির মাধ্যমে খুব সহজেই টেলিগ্রাম থেকে আয় করতে পারবেন।

URL শর্ট করে ইনকাম

আপনি আপনার বিভিন্ন ধরনের ভিডিও অথবা ইমেজ এর লিঙ্ক শর্ট করতে পারেন। এরপর আপনি আপনার টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিংকটি শেয়ার করবেন।

ফলে যখনই আপনার ফলোয়াররা ওই লিংকে ক্লিক করে আপনার সেই ভিডিওতে বা ইমেজে যাবে তখনই বিজ্ঞাপন দেখতে পারবে আর এভাবেই আপনি খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন।

লিংককে শর্ট করা যায় এরকম অনেক ওয়েব সাইট রয়েছে । কয়েকটি ওয়েব সাইটের নাম দেওয়া হলো :

কয়েকটি দেওয়া হল :

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম

ইনকাম করার সবচেয়ে লাভজনক পদ্ধতি হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা। আপনি বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটের প্রোডাক্ট এর লিংক টেলিগ্রাম এর মধ্যে শেয়ার করতে পারেন। তারপর যখন এই লিংকের মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করবে তখন আপনি অটোমেটিক ভাবে কমিশন পেয়ে যাবে। এ ভাবেই আপনি খুব সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।

পেইড প্রমোশন

যখন আপনার ফলোয়ার বেশি হয়ে যাবে । তখন অনেকেই তাদের প্রোডাক্টকে প্রচার করার জন্য আপনার টেলিগ্রাম চ্যানেলকে বেছে নিতে পারে। আর যেহেতু তারা আপনার টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে পণ্যকে প্রচার-প্রসার করছে। এর ফলে আপনি চার্জ নিতে পারেন। এভাবেই ইনকাম করতে পারেন ।

রিসেলিং করে ইনকাম

বর্তমানে টেলিগ্রাম এর মাধ্যমে রিসেলিং ব্যবসা করে ইনকাম করতে পারেন। অর্থাৎ বর্তমানে অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা রিসেলিং ব্যবসা করে। আপনি তাদের থেকে প্রোডাক্টের লিংক গ্রহণ করে আপনার টেলিগ্রাম চ্যানেলে শেয়ার করবেন।

তখন আপনি নিজের হিসেবে বিক্রি করতে পারবেন। এবং নিজের হিসেবে লাভ করতে পারবেন। যখনই আপনার ফলোয়াররা আপনার এই প্রোডাক্ট গুলো ক্রয় করবে। তখন আপনার ইনকাম হবে।

রেফার করে ইনকাম

বর্তমানে অনেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলোতে রেফার করার কারণে টাকা দিয়ে থাকে। আপনি এই সুযোগটা গ্রহণ করতে পারেন। আপনি ওই অ্যাপ এগুলোর রেফারেল লিংক আপনার চ্যানেলে শেয়ার করবেন। যখন কেউ এ রেফার লিংক এর মাধ্যমে এই অ্যাপটি ইন্সটল করবে। তখন ওই আপ কোম্পানি আপনাকে রেফার হিসেবে টাকা দিবে। এভাবে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।

পরিশেষে বলব : টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং কোন উপকারে আসে । তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধুদের কাছে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

I always like to learn new things and spread them. Therefore, my main goal is to highlight various new topics related to online business, online income, blogging and information technology.

Leave a Comment