নিজ বাড়িতে বসে করা যাবে এই ৭টি লাভজনক ঘরোয়া ব্যবসা

আপনি কি ঘরোয়া ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য।

বর্তমান সময়ে কেউ বেকার বসে থাকতে চায় না। সবাই ইনকাম করতে চায়। এই হিসেবে অনেকেই ব্যবসা করতে চায়।

কেননা ব্যবসা হল চাহিদাপূর্ণ একটি পেশা। কখনো এর চাহিদা কমবে না বরং বাড়তে থাকবে। তবে নানা রকম ঝামেলার কারণে অনেকেই ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সহজ পথ খুঁজে।

আপনি কি জানেন বর্তমান সময়ে ঘরে বসে ব্যবসা করা যায় ? আপনি যদি ভাল ভাবে মনোযোগ দিয়ে ব্যবসা করেন তাহলে ১০০% ঘরে বসে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করবেন।

তাই আজ আমি আলোচনা করব বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ঘরোয়া ব্যবসার ব্যপারে । পাশাপাশি আলোচনা করব কিভাবে এই ব্যবসা শুরু করা যায় ইত্যাদি আরও নানান বিষয় ।

অতএব এ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। যাতে করে কোন ধরনের ঝামেলায় না পড়েন। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

ঘরোয়া ব্যবসা

লাভজনক ঘরোয়া ব্যবসা

আমি এখানে এমন কিছু লাভজনক ব্যবসার কথা বলব যেগুলো প্রত্যেকটি ঘরে বসে বসে করতে পারবেন।

কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই। তাই আপনি যদি ঘরে বসে বসে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে চান অবশ্যই আপনাকে সময় দিতে হবে এবং পরিশ্রম করতে হবে। তাহলে সফলতা আপনার পিছনে পিছনে আসবে।

১. সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া ব্যবসা হল রিসেলার বিজনেস করা।

রিসেলার বলা হয় এমন একটি ব্যবসাকে যেখানে কোন কোম্পানির পণ্য বিক্রি করা। অর্থাৎ কোম্পানি আপনাকে ওই পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিবে তারপর আপনি ওই পণ্যের নির্ধারিত মূল্য থেকে অতিরিক্ত যত টাকা বিক্রি করতে পারবেন ওই টাকা আপনার।

সুতরাং এটা এমন একটি ব্যবসা যেখানে কোন ধরনের পুঁজি লাগেনা। পাশাপাশি ডেলিভারি করার কোন ঝামেলা নেই। কেননা আপনার দায়িত্ব শুধু বিক্রি করা। বাকি যত ধরনের কাজ রয়েছে কোম্পানির করবে।

রিসেলার ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য আপনাকে একটি বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে সেটা হল মার্কেটিং।

আপনি যত ভালো মার্কেটিং করতে পারবেন তত রিসেলার বিজনেস এর মধ্যে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। যদি আপনার মার্কেটিং এর মধ্যে কোন পারদর্শী না থাকে তাহলে আপনি শিখে নিতে পারেন।

বর্তমানে ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও রয়েছে এ মার্কেটিং সম্পর্কে। আর যদি আপনি ফ্রিতে শিখতে না চান তাহলে বর্তমানে অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখাচ্ছে টাকার বিনিময়ে।

ইচ্ছে করলে আপনি তাদের কাছ থেকে শিখতে পারেন। যখন আপনি মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে পারদর্শী হবেন তখন ১০০% আপনি রিসেলার বিজনেস এর মধ্যে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে রিসেলার বিজনেস শুরু করতে চান তাহলে বাংলাদেশী একটি প্রশিদ্ধ কোম্পানি রয়েছে তার নাম হলো শপআপ

এই কোম্পানিটি বাংলাদেশের মধ্যে অনেক প্রসিদ্ধিলাভ করেছে। অতএব আপনি ইচ্ছে করলে তাদের পণ্যগুলো মার্কেটিং করে প্রতিমাসে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন।

২. ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা হল উপহার বিক্রির ব্যবসা করা

বর্তমান সময়ে সবাই তার প্রিয়জনকে উপহার দিতে পছন্দ করে। বিশেষ করে বিভিন্ন দিবস বা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তারা তার প্রিয়জনকে উপহার দেয়।

তাই উপহারসামগ্রীর চাহিদা অনেক বেশি। আপনি চাইলে ঘরে বসে বসে উপহার সামগ্রীর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে ব্যবসা করেন ও ভালো ভালো উপহার সংগ্রহে রাখতে পারেন। তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

বর্তমানে মানুষ খুবই ব্যস্ত থাকে তাই তারা মার্কেটে গিয়ে পছন্দের গিফট খোঁজে তা প্যাকিং করে প্রিয়জনের কাছে পাঠাতে খুবই ঝামেলার মনে করে।

তাই তারা সহজ কিছু খুঁজে। আপনি এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ঘরে বসেই এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

বিক্রি করার নিয়ম

প্রথমত আপনি উপহার সামগ্রী একত্রিত করবেন। দুইভাবে একত্রিত করতে পারেন।

  • সরাসরি উপহার সামগ্রী নিজে তৈরি করতে পারেন। কাগজ অথবা মাটি দিয়ে নানা রকম আনকমন জিনিস তৈরি করতে পারেন।
  • বিভিন্ন জায়গা থেকে একত্রিত করতে পারেন। অর্থাৎ আপনি যদি তৈরি করতে না পারেন তাহলে বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করবেন।

এরপর বিক্রি করার জন্য মার্কেটিং করতে হবে। মার্কেটিং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে করতে পারেন।

ফ্রিতে করতে পারেন আবার টাকা খরচ করেও করতে পারে। টাকা খরচ করে মার্কেটিং করলে বেশি লাভবান হওয়া যায়। পাশাপাশি দ্রুত সফলতা লাভ করা যায়।

পারলে এ সংক্রান্ত চমৎকার একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। তাহলে প্রফেশনাল ভাবে একটি বিজনেস তৈরি হয়ে যাবে। পাশাপাশি এসইও করবেন। তাহলে ভবিষ্যতে গ্রাহকরা আপনাকে খুঁজে বের করবে।

৩. মেয়েদের ঘরোয়া ব্যবসা হল ঘরে তৈরি খাবারের ব্যবসা

ঘরোয়া ব্যবসা

আগের মত বর্তমানে মানুষ হোটেলের খাবার পছন্দ করে না। বর্তমানে মানুষ ঘরে তৈরি খাবার পছন্দ করেন। দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলছে। আপনি এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেন।

অর্থাৎ ঘরে বিভিন্ন আইটেমের মজার মজার খাবার তৈরি করে তা অনলাইনের মাধ্যমে অথবা সরাসরি বিক্রি করতে পারেন। অথবা কোন কোম্পানির আন্ডারে ও বিক্রি করতে পারেন।

যদি আপনি মজাদার খাবার তৈরি করতে পারেন তাহলে দেখবেন এর চাহিদা দিন দিন বাড়তেই থাকবে। খুব অল্প দিনে আপনি সফলতা উচ্চ শিখরে পৌঁছে যাবেন।

খাবার বিক্রি করার নিয়ম

১. আপনি নিজে নিজেই অনলাইনে মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন। এর জন্য আপনি ফেসবুক অথবা ইউটিউব এর মাধ্যমে প্রচার প্রসার করতে পারেন।

২. অথবা কোন অনলাইন কোম্পানির আন্ডারে কাজ করতে পারেন। যেমন : foodpeon , foodpanda ইত্যাদি।

অথবা আপনি সরাসরি বিক্রি করতে পারেন কোন একটি দোকানের মাধ্যমে। অথবা আপনার আশপাশে খাবার ডেলিভারি করে। মোটকথা আপনি খুব সহজেই ঘরে নানান ধরনের আইটেমের খাবার তৈরি করে প্রতিমাসে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন।

৪. ঘরে বসে ব্যবসা আইডিয়া হলো কাপড়ের ব্যবসা করা ।

মানুষ আগের মত মার্কেটে যায় না। নানান ব্যস্ততার কারণে। এই কারণে তারা ঘরে বসেই অনলাইনে কারা কারা করতে পছন্দ করে। বর্তমান সময় হলো ডিজিটাল যুগ। সবকিছুই অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে করে থাকে।

এই হিসেবে আগের তুলনায় বর্তমানে অনলাইনে কেনাকাটার চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। ভবিষ্যতে এর চাহিদা আরো বাড়বে। এটাই হলো মোক্ষম সুযোগ।

এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। তাই আজই আপনি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করে দিন। কাপড় বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।

যেমন : শাড়ি, থ্রি পিস, বাচ্চাদের কাপড়-চোপড়, টি শার্ট ইত্যাদি। এই সমস্ত জিনিস নিয়ে খুব সহজেই অনলাইনে নিজের ঘরে বসে ব্যবসা করতে পারেন।

অনলাইনে ব্যবসা করার নিয়ম : 

অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার জন্য কয়েকটি স্টেপ মেনে চলতে হবে। এ সমস্ত স্টেপ মেনে চললে খুব সহজেই অল্প সময় সফলতার মুখ দেখতে পারবেন।

এক নাম্বার স্টেপ : প্রথমত আপনাকে নির্দিষ্ট করতে হবে যে, আপনি কি ধরনের কাপড়- চোপড় বিক্রি করবেন। ইচ্ছে করলে সব আইটেম নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। আবার ইচ্ছে করলে যে কোন নির্দিষ্ট একটি আইটেম নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।

দ্বিতীয় স্টেপ : মার্কেট যাচাই বাছাই করবেন। অর্থাৎ গ্রাহকরা কোন ধরনের কাপড় পছন্দ করে এবং কেমন কাপড় তারা খোঁজ করে। ইত্যাদি এরকম নানান বিষয় সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে।

তৃতীয় স্টেপ: আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য চমৎকার একটি নাম নির্ধারণ করতে হবে। নাম নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে । যেমন :

  • আপনি যে পণ্য নিয়ে ব্যবসা করছেন ওই পন্যের সাথে নাম মিল রেখে রাখবেন। যাতে করে খুব সহজে বুঝতে পারে গ্রাহকরা নাম শোনার সাথে সাথে।
  • একেবারে আনকমন নাম রাখা।
  • সহজ এবং সংক্ষিপ্ত নাম রাখা।

এ সম্পর্কে আরো জানতে নিচের লেখাটি পড়তে পারেন।

Read more : অনলাইন ব্যবসার নাম বের করার কৌশল

চতুর্থ স্টেপ : প্রতিযোগীদের নিয়ে গবেষণা করতে হবে। অর্থাৎ আপনার যারা প্রতিযোগী রয়েছে তারা কিভাবে ক্রয় বিক্রয় করে। কিভাবে তারা গ্রাহকদের সাথে ব্যবহার করে, কিভাবে তারা গ্রাহকদেরকে আকৃষ্ট করে ইত্যাদি এরকম নানান বিষয় জানতে হবে।

পঞ্চম স্টেপ : মার্কেটিং করতে হবে। এই বিষয় অনেক জরুরী। মার্কেটিং করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নিতে পারেন। স্বাভাবিকভাবে মার্কেটিং দুইভাবে করা যায়।

  • টাকা ব্যয় করে খরচ করতে পারবেন।
  • আবার ইচ্ছা করলে ফ্রিতে মার্কেটিং করতে পারবেন 

টাকা ব্যয় করে ফেসবুক মার্কেটিং করলে খুব দ্রুত সফল হওয়া যায়। কেননা খুব সহজেই টার্গেট করে মার্কেটিং করা যায় টাকা ব্যয় করলে।

৫. মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা হলো টিউশন করা ।

ঘরোয়া ব্যবসা

এই মাধ্যমটি জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। আপনি ঘরে বসে খুব সহজে টিউশন করে অর্থাৎ পড়িয়ে প্রতি মাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অর্থাৎ টিউশন আপনি দুইভাবে করতে পারেন।

  • সরাসরি পড়াতে পারেন ।
  • অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাস করে প্রতিমাসে ভালো থাকে ইনকাম করতে পারেন।

একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন আপনি চেষ্টা করবেন ওই বিষয়ে ক্লাস করা যে বিষয়ে আপনি পারদর্শী।

এতে আপনি খুব সহজেই সফলতার উচ্চ শিখরে পৌঁছতে পারবেন। আশা করি এই ঘরোয়া ব্যবসা এর আইডিয়া খুব ভালো লেগেছে।

সফলতা অর্জন করার জন্য অবশ্যই মনোযোগ ও পরিশ্রমের সাথে এই ব্যবসাটি করতে হবে।

৬. ঘরে বসে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম

এফিলিয়েট মার্কেটিং জনপ্রিয় একটি মাধ্যম ঘরে বসে অনলাইন থেকে ইনকাম করার। এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে মোটামুটি সকলেরই জানা আছে।

এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে যে বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে পারদর্শী হওয়া।

আপনি যত পারদর্শী হবেন মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ততো এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

যদি আপনি মার্কেটিং এর মধ্যে অভিজ্ঞ হন তাহলে তো ভালো কথা। আর যদি মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ না হন তাহলে আপনি মার্কেটিং শিখতে পারেন। ফ্রিতে শিখতে পারেন আবার টাকা ব্যয় করে শিখতে পারেন।

পড়ুন : এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো ?

৭. বাড়িতে বসে ব্যবসা হলো কুটির শিল্পের ব্যবসা । 

কুটির শিল্প বলতে আমরা বুঝি ঘরোয়া ভাবে যে সমস্ত শিল্পের কাজ করা হয়। এই ব্যবসা খুবই লাভজনক। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে গুরুত্বের সাথে কাজটি করতে হবে। কুটির শিল্প স্বাভাবিকভাবে আট ধরনের রয়েছে। যেমন : 

  1. হস্তশিল্প
  2. ধাতব শিল্প
  3. মুদ্রণ ও মোরগ
  4. অধাতব খনিজ
  5. রসায়নিক
  6. বস্ত্র ও চামড়া জাতীয়  শিল্প
  7. খাদ্য বা পানি জাতীয় শিল্প
  8. কাঠ জাতীয় শিল্প

সর্বপ্রথম আপনাকে নির্দিষ্ট করতে হবে কোন বিষয় নিয়ে ব্যবসা করবেন। অবশ্যই আপনাকে অভিজ্ঞ হতে হবে। যদি আপনি এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ না হন। তাহলে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিবেন। সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যেমন :

  • যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর।
  • মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর

প্রশিক্ষণ নেয়ার পর কাজ শুরু করে দিবেন। আশা করি খুব দ্রুত সফলতা লাভ করতে পারবেন।

  1. কসমেটিকস পাইকারি বাজার কোথায় কোথায় রয়েছে ?
  2. ছাত্রদের জন্য ব্যবসা আইডিয়া ১৮টি যেগুলো খুবই লাভজনক
  3. ক্ষুদ্র ব্যবসার তালিকা

পরিশেষে বলব : উপরে ঘরোয়া ব্যবসা সম্পর্কে ৭টি আইডিয়া দিলাম। যদি এই আইডিয়া গুলো আপনার ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। পাশাপাশি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

FAQ

হোম বিজনেস কি ?

ঘরে বসে বসে যে ব্যবসা করা হয় কোন দোকান বা অফিসে না গিয়ে তাকে হোম বিজনেস বলে ।

I always like to learn new things and spread them. Therefore, my main goal is to highlight various new topics related to online business, online income, blogging and information technology.

Leave a Comment