১০টি পদ্ধতিতে কিডনি ভালো রাখার উপায় ,১০০% কার্যকরী টিপস

আপনি কি জানতে চান কিডনি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে ? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য।

কিডনি প্রতিটি মানব শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে মানব শরীরে পরিষ্কার রক্ত প্রবাহের ক্ষেত্রে কিডনি অনেক বড় ভূমিকা রাখে।

পাশাপাশি দেহে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখে। অতএব প্রতিটি মানব শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য কিডনি ভালো থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

কেননা কিডনি ভালো থাকলে ফুসফুস ও হৃদযন্ত্র ভালো থাকে। আর যদি কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ফুসফুস ও হৃদযন্ত্র নষ্ট হয়ে যায়।

পাশাপাশি আরো নানান সমস্যা দেখা দেয়। তবে আনন্দের বিষয় হলো মাত্র কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে সারা জীবন আপনার কিডনি ভালো থাকবে। কখনো আপনার কিডনি নষ্ট হবে না।

তাই আজ আমি কিডনি ভালো রাখার উপায় ও কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। পাশাপাশি নানান খুঁটিনাটি বিষয়গুলো তুলে ধরব।

আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং ফলো করার চেষ্টা করবেন। তাহলে সারা জীবন আপনার কিডনি ভালো থাকবে।

কিডনি ভালো রাখার উপায়

Table of Contents

কিডনি ভালো রাখার উপায়

ভালো থাকার উপায় বলার আগে আলোচনা করব কিডনি সমস্যা বোঝার উপায় সম্পর্কে। এতে করে আপনার কাছে ক্লিয়ার হয়ে যাবে আপনার কিডনি ভালো আছে কিনা। এরপর আপনি ভালো থাকার উপায়গুলো ফলো করবেন।

কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় কি ?

কিডনিতে সমস্যা হয়েছে কিনা তা বুঝার জন্য এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে যা সাধারণ মানুষ খালি চোখে বুঝতে পারবে কোন ধরনের চিকিৎসা ছাড়াই। আশাকরি এই লক্ষনগুলো ভালোভাবে পড়বেন।

১. ফোলা ভাব দেখা যায় 

হাতে , পায়ের গোড়ালি , আবার অনেক সময় চোখের নিচে ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে। যদি এই ফোলা ভাবটি এক সপ্তাহ অথবা দুই সপ্তাহ স্থায়িত্ব হয় তাহলে কিডনির সমস্যার কারণে এই ফোলা ভাবটি হতে পারে।

কেননা কিডনিতে যখন সমস্যা দেখা দেয় তখন কিডনি শরীর থেকে পানি বের করতে পারে না। এর ফলে শরীরের মধ্যে পানি জমে গিয়ে ওইরকম ফোলা ভাব তৈরি হয়।

২. প্রস্রাবের মধ্যে পরিবর্তন

কিডনিতে সমস্যা হলে প্রস্রাব কমে যেতে পারে আবার অনেক সময় ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে। এটা কিডনি রোগের অনেক বড় লক্ষণ। এই সমস্যা স্বাভাবিকভাবে রাত্রে বেড়ে যায়। প্রস্রাবে আরো নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে। যেমন : 

  • প্রস্রাব করার সময় ব্যথা অনুভব হতে পারে। এটাও কিডনি রোগের লক্ষণ।
  • প্রস্রাবের ব্যাগ হওয়া সত্ত্বেও প্রস্রাব না আসা। এটাও কিডনি রোগের একটি লক্ষণ।
  • প্রস্রাবের রং গাঢ় হয়ে যাওয়া।
  • প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হওয়া। এটি অনেক মারাত্মক সমস্যা। এটা কিডনি রোগের অনেক বড় লক্ষণ।

৩. অধিকাংশ সময় শীত অনুভব হওয়া

কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে সব সময় শীত শীত অনুভব হতে পারে। কেননা অনেক সময় কিডনির সমস্যার কারণে জ্বর এসে থাকে। ফলে শীত শীত অনুভব হয় ।

৪. ঘুমের মধ্যে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

অর্থাৎ কিডনির সমস্যার কারণে ঘুমের মধ্যে সমস্যা হতে পারে। কেননা যখন কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয় তখন কিডনি শরীর থেকে পানি বের করতে পারে না ফলে ফুসফুসের মধ্যে পানি জমে যায়।

যখন ফুসফুসে পানি জমে যায় তখন শোয়া অবস্থায় পরিপূর্ণভাবে নিঃশ্বাস নেওয়া যায় না। এভাবে ঘুমের মধ্যে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।

৫. বমি বমি ভাব হতে পারে

কেননা যখন কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয় তখন কিডনি রক্ত থেকে বর্জনীয় পদার্থ আলাদা করতে পারে না। ফলে রক্তের মধ্যে বর্জনীয় পদার্থ বেড়ে যায়। এতে করে বমি বমি ভাব অথবা বমির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

৬. ত্বকের মধ্যে সমস্যা হতে পারে

অর্থাৎ কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে ত্বকের রং পরিবর্তন হতে পারে , ত্বকের মধ্যে চুলকানি হতে পারে , খশখস হয়ে যেতে পারে ইত্যাদি।

কেননা কিডনি শরীরের সমস্ত ক্ষতিকারক পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। আর যখন কিডনির মধ্যে সমস্যা দেখা দিল তখন এই সমস্ত পদার্থকে বের করতে পারে না ফলে নানান ধরনের সমস্যা তৈরি হয় ত্বকের মধ্যে।

৭. পিঠের দিকে ব্যথা হতে পারে।

অর্থাৎ কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে পিঠের নিচের দিকে ব্যথা হতে পারে। এটা অনেক বড় লক্ষণ কিডনি রোগের।

৮. খিচুনির সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে

কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে খিঁচুনি হতে পারে আবার অনেক সময় মাংসপিশিতে টান অনুভব হতে পারে। এটাও কিডনি রোগের অনেক বড় একটি লক্ষণ।

৯. কাজে মনোযোগ দিতে অসুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা হতে পারে।

কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে যে কোন কাজের প্রতি মনোযোগ দিতে অসুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

কেননা যখন কিডনিতে সমস্যা দেখা দিবে তখন লোহিত রক্তকণিকা কমে যায়। এর ফলে ব্রেনের মধ্যে অক্সিজেন চলাচল কমে যায়।

কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে কি করা উচিত ?

উপরে যে সমস্ত লক্ষণ গুলো আলোচনা করা হলো এর যে কোন একটি লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে। এরপর চিকিৎসক যা ট্রিটমেন্ট বলে দিবেন ওই অনুযায়ী চলতে হবে। আশা করি আপনার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে ।

কিডনি ভালো রাখার ঘরোয়া উপায়

যদি উপরের আলোচনাকূত কোন লক্ষণ না দেখা দেয় তাহলে বোঝা যাবে আপনার কিডনি ভালো আছে।

তাই টেনশনের কোন কারণ নেই। এক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে কিডনি ভালো থাকার উপায় গুলো ফলো করা।

যাতে করে সারা জীবন আপনার কিডনি ভালো থাকে। ভালো থাকার উপায় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আশা করি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

১. প্রস্রাব আটকিয়ে না রাখা

অর্থাৎ প্রস্রাবের ব্যাগ আসলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রস্রাব করে ফেলা। কেননা যদি প্রস্রাব আটকে রাখা হয় তাহলে কিডনির উপর অনেক চাপ পড়ে।

আর এই বদ অভ্যাস দীর্ঘদিন যাবত চলতে থাকলে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার অনেক সময় কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

২. নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা

কিডনি সুস্থ রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিয়মিত পানি পান করতে হবে। কেননা পানি পান করার দ্বারা কিডনি স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম করতে থাকে এবং সচল থাকে।

তাই কমপক্ষে প্রত্যেক দিন দুই থেকে তিন লিটার । অর্থাৎ ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। গরমের দিনে শরীরে ঘাম হলে পানি খাওয়ার পরিমান আরো বাড়িয়ে দিতে হবে।

৩. কিডনি ভালো রাখার উপায় হলো লবণ পরিহার করা

খাবারে সব সময় লবণ খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকারক। কেননা কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করতে অক্ষম।

এর কারণে সোডিয়াম কিডনির মধ্যে রয়ে যায়। এতে ধীরে ধীরে কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। তাই অবশ্যই লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৪. কোমল পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

আমরা শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য কোমল পানীয় বা এনার্জি ড্রিঙ্কস খেয়ে থাকি। এগুলো খাওয়ার দ্বারা শরীরের মধ্যে পানি স্বল্পতা তৈরি করে।

ফলে কিডনির উপর চাপ পড়ে। এই অভ্যাস বজায় রাখলে ধীরে ধীরে কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। তাই অবশ্যই এই সমস্ত পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৫. ব্যথা নাশক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন

অর্থাৎ আমরা বিভিন্ন ব্যথার কারণে ওষুধ খেয়ে থাকি । ব্যাথা নাশক ওষুধ কিডনির জন্য অনেক ক্ষতিকারক।

যতটুক সম্ভব ব্যথা নাশক ঔষধ থেকে বিরত থাকা। পাশাপাশি অন্যান্য ঔষধ খাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করা।

কেননা কমবেশি সব ওষুধ-ই কিডনিকে ক্ষতি করে। সবচেয়ে ভালো হয় অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়া।

৬. মদ পান ও ধূমপান থেকে বেঁচে থাকুন

মদ পান ও ধূমপান অনেক ক্ষতিকারক শরীরের জন্য এবং কিডনির জন্য। কেননা কিডনির মধ্যে রক্ত চলাচল কমিয়ে দেয় মদ পান এবং ধূমপানের কারণে।

আর এই কারণে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যায়। এভাবে ধীরে ধীরে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয় এবং কিডনি নষ্ট হয়ে যায়।

৭. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন

কিডনি ভালো রাখার জন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সব সময় রক্তচাপ যেন ১৩০/৮০ থাকে অথবা এর কম থাকে।

কোনভাবেই যেন ১৪০/৯০ এর উপরে না যায়। কেননা এর উপরে গেলে কিডনিতে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

আর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য নিয়মিত আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম করার দ্বারা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

৮. কিডনি ভালো রাখার উপায় হলো অতিরিক্ত ভিটামিন সি খাওয়া যাবে না

ভিটামিন সি অতিরিক্ত খেলে কিডনিতে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কেননা একজন মানুষের শরীরে কমপক্ষে প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রামের ভিটামিন সি প্রয়োজন হয়।

তাই প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সি খাওয়া যাবেনা । অবশ্যই অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৯. সব সময় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা

অর্থাৎ ডায়াবেটিস যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে কিডনিতে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অবশ্যই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনের রাখার চেষ্টা করুন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন ও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন। এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

যখন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকবে তখন কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

১০. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন

অর্থাৎ যদি শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই সব সময় শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

এর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করার দ্বারা শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে। যখন শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে তখন কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

উপরে যে কিডনি ভালো রাখার উপায়গুলো বললাম এগুলো ফলো করলে সারা জীবন আপনি কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন। তাই অবশ্যই এই বিষয়গুলো প্রতিটা মুহূর্তে ফলো করার চেষ্টা করবেন।

কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো ?

পুরুষ এবং নারীদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা পয়েন্ট রয়েছে।

  • শিশুদের জন্য যদি রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ০.৩ থেকে ০.৭ মিলিগ্রাম হয় তাহলে ভালো।
  • কিশোরদের জন্য যদি প্রতি ডেসি লিটার রক্তের মধ্যে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ০.৫ থেকে ১.০ মিলিগ্রাম হয় তাহলে ভালো।
  • প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের জন্য যদি প্রতি ডেসি লিটার রক্তের মধ্যে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ০.৬ থেকে ১.২ মিলিগ্রাম থাকে তাহলে ভালো।
  • নারীদের জন্য যদি প্রতি ডেসি লিটার রক্তের মধ্যে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ০.৫ থেকে ১.১ মিলিগ্রাম থাকে তাহলে ভালো।
  • যে সমস্ত ব্যক্তিদের শুধুমাত্র একটি কিডনি রয়েছে। তাদের জন্য যদি প্রতি ডেসি লিটার রক্তের মধ্যে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ১.৮ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ভালো।
  • প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য যদি প্রতি ডেসি লিটার রক্তের মধ্যে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ৫.০ মিলিগ্রামের চেয়ে বেশি হয় তাহলে বুঝতে হবে কিডনি ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে।

আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন কিডনি কত পয়েন্ট হলে ভালো হয় ।

পরিশেষে বলবো : উপরে কিডনি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো ।

আশা করি আপনি পরিপূর্ণভাবে বুঝতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। তাই অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। পাশাপাশি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

আরো পড়ুন : 

কিডনি খারাপ হওয়ার কারণ কি ? 

কিডনি খারাপ হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হলো :
১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে।
২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে
৩. সব সময় ব্যাথা নাশক ওষুধ সেবন করলে।
৪. সব সময় প্রস্রাবের ব্যাগ আটকে রাখলে।
৫. সব সময় ধূমপান ও মদ পান করলে
ইত্যাদি এ সমস্ত কারণে কিডনি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অবশ্যই এ সমস্ত বিষয়গুলো থেকে বেঁচে থাকতে হবে।

কিডনি রোগের প্রথম লক্ষণ কি ?

প্রাথমিক লক্ষণ হল :
১. এক থেকে দুই সপ্তাহ ধরে চোখ মুখ ফুলে থাকা
২. মাত্রা অতিরিক্ত বমি ভাব
৩. ত্বকে চুলকানো
৪. প্রস্রাবে নানান ধরনের সমস্যা ইত্যাদি। এ সমস্ত প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিলেই বুঝতে হবে আপনি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

কিডনির সমস্যা হলে কি কি অসুবিধা হতে পারে ?

কিডনিতে সমস্যা হলে বেশি বেশি প্রস্রাব হবে অথবা প্রস্রাব একেবারে কমে যাবে। প্রস্রাবের রং লাল হতে পারে। পাশাপাশি ফোলা ভাব তৈরি হতে পারে।

কিডনি রোগ কি ভাল হয় না ?

হ্যাঁ কিডনি রোগ পরিপূর্ণভাবে ভালো হয়ে যায়। এজন্য অবশ্যই ভালোভাবে চিকিৎসা করতে হবে। পাশাপাশি অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। তাহলে খুব সহজেই এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

Leave a Comment