এসাইনমেন্ট কিভাবে লিখতে হয় এ সম্পর্কে জানতে চান ? প্রত্যেকটি স্কুল কলেজে এসাইনমেন্ট লেখা হয়।
এর দ্বারা পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পাওয়া যায়। যার ফলে প্রত্যেক স্কুলে এসাইনমেন্ট লেখা আবশ্যক করে দিয়েছে। অবশ্যই এটার নিয়ম রয়েছে।
যদি আমরা নিয়ম ফলো না করি তাহলে এসাইনমেন্ট পরিপূর্ণ হবে না। তাই আজ আমি এসাইনমেন্ট কিভাবে লিখতে হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
যাতে করে পরিপূর্ণ একটি এসাইনমেন্ট তৈরি হয়। কোন ধরনের সমস্যা না থাকে।
এসাইনমেন্ট কিভাবে লিখতে হয় ?
লেখার জন্য কয়েকটা জিনিস লাগবেঃ
- A4 সাইজের কাগজ
- পেন্সিল
- কালো কালারের কলম
- একটি স্কেল
- গাইড বা পত্রিকা ইত্যাদি
- মূল বই
- ইন্টারনেট। যাতে করে এখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
এসাইনমেন্ট এর কভার পেজ কিভাবে লিখতে হয় ?
এসাইনমেন্ট এর জন্য অবশ্যই কভার পেজ থাকতে হবে। আর কভার পেজের মধ্যে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই আপনাকে লিখতে হবে বা পূরণ করতে হবে।
- নিজের নাম
- পিতার নাম
- মাতার নাম
- শ্রেণি
- শাখা
- আপনার রোল নাম্বার
- কোন বিষয়ের এসাইনমেন্ট
- শিক্ষকের নাম কি
- বিভাগ কি
- তারিখ আরও নানা বিষয়।
কভার পৃষ্ঠার নমুনা
এসাইনমেন্ট
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
এসাইনমেন্ট -১
শিক্ষার্থীর নাম : | ফাতেমা |
পিতার নাম : | আব্দুল্লাহ |
মাতার নাম : | আমেনা |
শ্রেণি : | ৯ম |
শাখা : | (ক) |
রোল নাম্বার : | ১ |
বিষয় : | বাংলা প্রথম |
বিভাগ : | বাণিজ্য |
শিরোনাম : | ডাল রান্নার পদ্ধতি |
শিক্ষকের নাম : | মোঃ রফিকুল ইসলাম |
শিক্ষকের পদবী : | ম্যানেজমেন্ট অফ স্কুল |
জমা দেওয়ার তারিখ : | ২৮-১-২২ ইং |
এসাইনমেন্ট কিভাবে লিখতে হয় এর সম্পূর্ণ বিষয়
সম্পূর্ণ এসাইনমেন্ট চার ভাগে ভাগ করতে হবেঃ
- শিরোনাম দিতে হবে। অর্থাৎ যে বিষয়ে লেখবেন তার একটি শিরোনাম নিতে হবে।
- ভূমিকা দিতে হবে ।
- মূল অংশ দিতে হবে। অর্থাৎ এখানে বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে।
- সবার শেষে উপসংহার দিতে হবে। অর্থাৎ এখানে আপনার বিষয়টিকে ফিনিশিং দিতে হবে।
নিচে নমুনা দেওয়া হলো
শিরোনাম : ডাল রান্নার পদ্ধতি
ভূমিকা : আমরা প্রতিদিন ডাল খেয়ে থাকি। কেমন যেন ডাল ছাড়া ভাত খেতে পারিনা। আমাদের বাঙ্গালীদের প্রতিটা খাবারের মধ্যে ডাল মিশে আছে।
ভালো রান্নার কারণে ডাল অনেক মজা হয়। আর রান্নার ভুলের কারণে ডালের মধ্যে অস্বাদ চলে আসে। তাই আজ আমি বলবো কিভাবে ভালোভাবে ডাল রান্না করতে হবে।
রান্নার জন্য কিছু উপকরণ রয়েছে :
- ডাল 100 গ্রাম যেকোনো ডাল হতে পারে।
- রসুন 3 কুয়া
- পেঁয়াজ ছোট সাইজের ২টা
- লবণ এক চা-চামচ
- কাঁচা মরিচ 2 টা
- ধনেপাতা পরিমাণ মতো
- পানি 1 লিটার
- হলুদের গুঁড়া এক অথবা হাফ চামচ
সম্পূর্ণ রান্নার পদ্ধতি : প্রথমে ডাল নিয়ে তা 20 থেকে 25 মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
ভিজিয়ে রাখার কারণে ফুলে উঠবে ফলে সিদ্ধ করতে সহজ এবং ভালোভাবে সিদ্ধ হবে। তারপর পাতিলে ১ লিটার পানি দিন।
তারপর পেয়াজ রসুন মরিচ হলুদ লবণ এগুলো দিতে হবে। চুলায় আগুন মিডিয়াম রেখে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন।
এবার সিদ্ধ হওয়ার জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ঢাকার 20 থেকে 25 মিনিট পর ডাল সিদ্ধ হয়ে যাবে।
তারপর হাতে নিয়ে দেখবেন বলেছে কিনা। যদি টিপ দেওয়ার সাথে সাথে নরম গলে যায় তাহলে বুঝবেন ডাউল সেদ্ধ হয়েছে।
এরপর কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। তারপর পরিমাণমতো ধনেপাতা কুচি কুচি করে দিন। ডালে আরসাদ হওয়ার জন্য বাগাড় দিতে পারেন।
পরিশেষে : ডাল অনেকক্ষণ ভিজিয়ে রাখবেন এবং চলে আয় দেওয়ার পর ভালোভাবে নাড়াচাড়া করবেন। এবং লবণ চেক করবেন। আশাকরি অনেক মজা হবে।
এসাইনমেন্ট কিভাবে লিখতে হয় এর আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়ম
- অবশ্যই পেন্সিল দিয়ে খাতাটি মার্জিন করতে হবে।
- ছোট ছোট বাক্য আকারে লিখতে হবে। সহজ ভাষায় লিখতে হবে।
- লেখার মধ্যে কোন ধরনের হিবিজিবি এবং কাটাছেঁড়া করা যাবে না।
- লাল-কালি ব্যবহার করা যাবে না। বরং কালো কালি ব্যবহার করতে হবে।
- বিভিন্ন পয়েন্টকে মার্ক করার জন্য লাল কালি বাদ দিয়ে অন্যান্য কালি যেমন নীল কালি ব্যবহার করতে পারেন।
- এসাইনমেন্ট শেষ একটি খালি কাগজ সংযুক্ত করতে হবে।
- নিজে নিজে তৈরি করা অন্য কারোটা কপি না করা।
- বিভিন্ন ধরনের স্টাইলিশ অক্ষর ব্যবহার না করা।
পরিশেষে বলব : আশা করি এসাইনমেন্ট কিভাবে লিখতে হয় এ সম্পর্কে আমি ভালোভাবে বোঝাতে পেরেছি । যদি ভালো লাগে তাহলে জানাবেন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন : পরীক্ষায় ভালো করার উপায়